কুমিল্লার চান্দিনায় একনারী পোশাককর্মীকে গণধর্ষণ করার ঘটনায় ৩ বখাটে যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৮ জুলাই) দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আনোয়ার জানান, এ ঘটনায় ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষকরা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাতে দেবীদ্বার থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এর আগে সোমবার (৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন কুমিল্লার চান্দিনা ও দেবীদ্বার উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা বাগুর শান্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলো-ভোলার লালমোহন উপজেলার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর ছেলে খোকন (২৯), কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ভৈষেরকুট গ্রামের ফরিদুর রহমানের ছেলে আব্দুল মান্নান (২৮)। তারা উভয়ই চান্দিনার বেলাশহর গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। অপরজন হলো- চান্দিনা উপজেলার বেলাশহর গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে ফরিদ (২৬)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়-চান্দিনা উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের বাসিন্দা ১৯ বছর বয়সী সুমনা (ছদ্মনাম) বেলাশহর এলাকার ‘ডেনিম’ গার্মেন্টেসে চাকরি করেন। বাড়ি থেকে যাতায়াত করে চাকরি করা সম্ভব না হওয়ায় পাশের দেবীদ্বার উপজেলাধীন বাগুর গ্রামে ভাড়ায় বাসায় বসবাস করেন। সোমবার রাত ৯টায় ডিউটি শেষে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। মহাসড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে বাসায় ফেরার সময় ওই তিন যুবক তার মুখ চাপা ধরে একটি ঝোঁপে নিয়ে গণধর্ষণ করে। এসময় তার কাছ থেকে মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। খবর পেয়ে চান্দিনা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই তিন ধর্ষককে আটক করেন।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল ফয়সল জানান, ঘটনাস্থলটি চান্দিনা বাজারের কাছে হলেও তা দেবীদ্বার থানাধীন বাগুর শান্তিনগর এলাকায় ঘটেছে। তারপরও ঘটনাটি মোবাইল ফোনে জানতে পেয়ে সাথে সাথে থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) নোমানকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে তিন ধর্ষককে আটক করা হয়। ওই মেয়েটির মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করা হয়েছে। ভোরে দেবীদ্বার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Discussion about this post