মনিরুজ্জামান( যশোর সদর):
যশোর সদর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সরবরাহ করা উচ্ছের বীজ নিয়ে বিপাকে পড়েছে লেবুতলা ইউনিয়নের বীর নারায়ণপুর গ্রামের কৃষকেরা ।
জানা গেছে, পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদনের প্রকল্পের আওতায় লেবুতলা ইউনিয়নে ১৯টি গ্রামের একটি বীর নারায়ণপুর । এই প্রকল্পভুক্ত এলাকার চাষিদের মাঝে বিভিন্ন প্রদর্শনীয় উপকরণ বিতারণ করে থাকে যশোর সদর উপজেলা কৃষি অফিস। সরবরাহ করা উপকরণগুলোর মধ্যে রয়েছে, এনপিভি, ফেরোমন ট্র্যাপ, ইয়োলো ট্রাম্প,জৈব সার ও উচ্ছের বীজ ইত্যাদি। তবে এবছর উচ্ছের বীজ নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকার কৃষকেরা। এই বীজ মানসম্মত নয় বলে দাবি কৃষকদের।
চাষিদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত কাল (মঙ্গলবার) বীর নারায়ণপুর গ্রামের মাঠ প্রদর্শন করেন ও চাষিদের সাথে কথা বলেন , যশোর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শেখ সাজ্জাদ হোসেন। তিনি সরেজমিনে এসে ঐই বীজের উচ্ছের গাছ দেখে বলেন এই গাছ টালে উঠার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ ছোট গাছে ফল এসে গেছে। এই সময় কৃষকেরা তার উপর ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন । তাদের দাবি এই ক্ষতি পূরণ কে দিবে।
কৃষি অফিসার শেখ সাজ্ঝাদ হোসেন বলেন, কৃষকরা উচ্ছের বীজ নিয়ে যে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তা আমি পূরণ করার চেষ্টা করবো। এবার থেকে ভালো মানের বীজ দিবো। এবার ভালো শষা ও লাউয়ের বীজ দিবেন বলে তিনি এ সময় আস্বাস দেন ।
কৃষক জামাল বলেন, কৃষি অফিস থেকে যে বীজ দিয়েছে তা খুবই নিম্নমানের। যে বীজের চারায় মাঠিতেই ফোল ধরেছে । এগাছ টালে উঠবেনা। এগুলো হলো টুকুলে উচ্ছে । যা এখন বাজারে বিক্রি হবেনা । এই টুকুলে উচ্ছেই কোন লাভ হবেনা।
কৃষক টিপু সুলতান বলেন, বীজ ভালো না হলে শুধু কৃষক মরেনা পুরা পরিবার মরে। এর আগে তিনবার জৈব সার দিয়েছে যার প্রথম বার ভালো মানের সার ছিলো । পরে যে সার পায়ছি তা চাতালের ছাই । এই জৈব সার হলো বগুড়া র্ফাহা জৈব সার ,পল্লী উন্নয়ন একাডেমী ফারহা জৈব সার । আর বীজেতো একদমিই নিম্নমানের ।
কৃষাণী পারভিনা বলেন, কৃষি অফিসের বীজ নিয়ে ১৮ শতক জমিতে চাষ করেছি। যে গাছ টালে উঠার সম্ভাবনা নেই। একই জমিতে বাড়িতে সংরক্ষণ করা বীজ লাগায়ছি যা টালে উঠে গেছে। এখন তারা হতাশায় রয়েছে ১৮ শতক জমিতে কি করবেন।
কৃষকদের দাবি ,কৃষি অফিস থেকে ভালোমানের কৃষি উপকরণ যেন সরবরাহ করা হয়। যা দিয়ে আমরা ভালো ফসল উৎপাদন করতে পারি। তা না হলে আমরা বারবার ক্ষতিগ্রস্থ হবো। আর হয়তো একসময় নিঃস্ব হয়ে পড়বো।
Discussion about this post