নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কেরানীগঞ্জে ত্রাস গালকাটা আবু সিদ্দিক। ভূমিদস্যু ,চাঁদাবাজি, ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসারসহ ২৮ মামলা আসামি।কেরানীগঞ্জ তারানগর ইউনিয়নের গালকাটা আবুল বাহিনীর দিনের পর দিন অপরাধ অপকর্ম করার কারনে সাধারণ মানুষ আতংকিত হয়ে পড়েছে। কেউ প্রতিবাদ করলেই শুরু হয় তার ওপরে ফিল্ম স্টাইলে নির্যাতন।
গালকাটা আবু সিদ্দিকের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে প্রতিবাদ করলে গত রোববার সকাল ১১টার দিকে বড় মনোহরিয়া গ্রামে কেরানীগঞ্জে তারানগর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি মেম্বার দুলাল খানকে (৫৫) কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুলাল খান সাংবাদিকদের জানান, তারানগরের বড় মনোহরিয়া গ্রামে নিজ বাড়ির কাছে একটি দোকানের সামনে তিনি দাড়িয়ে ছিলেন।
আবু সিদ্দিকের নেতৃত্বে শিফাত, ফাহাদ, জাবেদ, শুক্কুর, মজিবুর সহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে তাকে রক্তাক্ত জখম করে। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। দুলাল খান আরও জানান, আবু সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ২৮টি মামলা রয়েছে। সে একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু। বিভিন্ন সময় তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বাধাঁ দেয়ায়ার জের ধরে আবু সিদ্দিক তাকে কুপিয়ে জখম করেছে। ঘটনাস্থলের কাছে আমার ভগ্নিপতি আব্দুল হাই ছিল, লেবাররা তাকে দৌড়ানী দেয়।
সরেজমীন তারানগর ইউনিয়নে গিয়ে আবু সিদ্দিকের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়,একাধিকবার এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে বিতর্কিত হয়েছে সে। এলাকায় গালকাটা সিদ্দিক নামেও পরিচিত। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় আবু সিদ্দিক প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া সহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ২৮ টার উপরে মামলা থাকলেও অদৃশ্য এক শক্তির কারনে তার মামলাগুলোর কোন বিচার হয় না। পুলিশ তাকে কখোনো গ্রেপ্তার করে না। দিন দিন তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অনেকেই অতিষ্ঠ। তার ছেলের বিরুদ্ধেও অনেকের অভিযোগ রয়েছে। দিন দিন লাগামহীন ভাবে তাদের খারাপ কাজ বেড়েই চলেছে।
তারানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ফারুক জানান, আবু সিদ্দিকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অনেক অভিযোগ আছে। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় আমার উপর ও বেশ কয়েকবার সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে সে। আমার বাড়িতে ভাংচুর চালিয়েছে। থানায় অভিযোগ জানানোর পরেও কোন এক অজানা কারনে তার বিচার হয় না। একজন চিহ্নিত অপরাধীর সঠিক বিচার হোক এটা এলাকাবাসী সবাই চায় । এভাবে যদি একজন অপরাধী বারবার অপরাধ করার পরেও ছাড় পেয়ে যায় তাহলে সমাজে অবক্ষয় বাড়বে। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি শুনে তিনি হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছেন।
তবে এব্যাপারে আবু সিদ্দিকের পক্ষে একটি অভিযোগ পেয়েছি দুলালের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ এখনো পাইনি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেরানীগঞ্জে থানার রাজাকারের বংশধর চাচা মৃত আব্দুল খালেক মুসলিম লীগের নেতা। ইয়াবা ব্যবসায়ী মিনি ক্যাসিনো ও জুয়া ব্যবসায়ী। চাঁদাবাজি মামলার আসামি লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র অনৈতিক কাজে ব্যবহার করার অপরাধে লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হয়।ইদানিং এছাড়াও অবৈধ জমি দখল মধ্য পানি ও সন্ত্রাসীদের গডফাদার আবু সিদ্দিক ও তার ছেলে সাব্বির আহমেদকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি করছেন কেরানীগঞ্জ তারানগর ইউনিয়ন পরিষদের 8 নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল খান নামে এই ভুক্তভোগী।
Discussion about this post