মোহনপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ কেশরহাট পৌরসভা নির্বাচন কে সামনে রেখে মেয়র পদপ্রার্থী গুলো জনগণের দ্বারপ্রান্তে ছোটাছুটি শুরু করে দিয়েছে। মেয়র পদপ্রার্থীর জন্য বিভিন্ন রকমের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কর্মীসভা করছেন আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থী বর্তমান মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ, প্যানেল মেয়র রুস্তম আলী পাং, কেশরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহিন।
দীর্ঘ ১৭ বছরের অচলায়তন ভেঙ্গে নতুন আগামীর প্রত্যাশায় পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে মেয়র পদপ্রার্থী শাহিন। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মুখে শাহিন নামে জোয়ার লেগেছে। তাদের দাবি দলীয় প্রতীকে এগিয়ে মেয়র পদপ্রার্থী শাহিন।
কেশরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী ক্লীন ইমেজের মানুষ পৌরসভার কৃতিসন্তান সৎ, যোগ্য, নীতিবান, শিক্ষিত, সময়ের সাহসী সন্তান। আসন্ন পৌর নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থীতে এগিয়ে মোঃ শাহিন। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় মেয়র পদপ্রার্থী শাহিন শুরু থেকেই ব্যাপক লোকজন নিয়ে পাড়া মহল্লায় সহ সকল বাজারে গনসংযোগ করছেন প্রতিনিয়ত।
সরজমিনে গিয়ে সাধারণ মানুষের মুখে শোনা যায়, পৌর বাসি ক্লীন ইমেজের মেয়র পদপ্রার্থী কে চায়। তাদের স্বপ্ন অন্যান্য পৌরসভার মতো আমাদের পৌরসভা উন্নয়ন হবে।
সোহেল নামের এক দোকানদার বলেন, ফেসবুকে দেখি কাটাখালির মেয়র আব্বাসের উন্নয়নের চিত্র গুলো। খুব আফসোস হয় আমাদের। আজ দল ক্ষমতায় থেকে দলীয় মেয়র থেকেও আমরা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত।
আমরা এমন এক প্রার্থী কে চায়, যে পৌর বাসি কে নিয়ে স্বপ্ন দেখে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামীলীগ নেতা বলেন, জনসাধারণ মানুষের মুখে জোয়ার উঠেছে দলীয় প্রতিকের দোড়ে এগিয়ে মেয়র পদপ্রার্থী শাহিন। এক শাহিন পারে পৌরবাসির স্বপ্ন পূরণ করতে।
মেয়র পদপ্রার্থী কেশরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহিন পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে ১৭ বছরের অচলায়তন ভেঙ্গে নতুন আগামীর প্রত্যাশায় দুর্নীতি ও মাদক মুক্ত, স্বচ্ছ, পরিচ্ছন্ন নগর গঠন সুপেয় পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন, ন্যায় ও আদর্শ স্থানীয় বিচার ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, টেকসই যোগাযোগ, ব্যবস্থা, পৌরসভার প্রানকেন্দ্র, কেশরহাটের উন্নয়নে, পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা, লাইটিং ও পরিধি বৃদ্ধি সহ সাধারণ মানুষের অংশ গ্রহন ও জবাবদিহিতা মূলক জনবান্ধব নাগরিক সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে কেশরহাট পৌরসভা নির্বাচনে।দুর্নীতি করব না -করতে দেব না এই অঙ্গিকারে মেয়র পদে আপনাদের সকলের দোয়া ও সমর্থন প্রত্যার্শী করেন।
আপনারা আমাকে পৌরবাসির সেবা করার সুযোগ দিলে এই অবহেলিত পৌরসভা কে দুই বছরের মধ্যে উন্নয়নের ছোয়া দিয়ে পাল্টে দিবো।
আমি শতভাগ আশাবাদী আওয়ামী লীগ হাইকমান্ড আমার ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে আমাকেই মনোনয়ন দেবেন।
সেক্ষেত্রে আমি বলতে পারি সবসময় জনগনকেই ভালবেসে এসেছি। তাদের সবকিছুতেই নিজেকে উৎসর্গ করেছি।করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দেশের ক্রান্তিলগ্নে আমার পৌরসভার প্রতিটি কর্মহীন পরিবারের মাঝে লকডাউন চলাকালীন সময়ে খাদ্যসহায়তা,স্যানিটাইজার সহ পবিত্র ঈদ-উল ফিতর এবং ঈদ-উল আযহা উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ডের জনগনের মাঝে খাদ্যসামগ্রী,মিষ্টান্ন,নতুন পোশাক সহ নগদ অর্থ বিতরন করেছি।
তিনি আরো বলেন, আমার জন্মই জনগনের সেবা করার জন্য। কেশরহাট পৌরসভার প্রিয় এসকল জনগনকে সাথে নিয়েই এই এলাকার ভোটারদের সহযোগিতায় বিজয় উপহার দিতে চাই।এবং আসন্ন পৌর নির্বাচনে কেশরহাট পৌরবাসী বিপুল ভোটে আমাকে মেয়র পদে নির্বাচিত করবেন বলে আশাবাদব্যাক্ত করেন আ’লীগের এই নেতা।
Discussion about this post