মেহেদী হাসান, জামালপুর প্রতিনিধিঃ দুর্নীতি ও নিয়ম বহির্ভূত কার্যকলাপসহ অর্থ আত্মসাৎ এবং গুন্ডা বাহিনী দিয়ে মানুষজনকে হয়রানি, নির্যাতন ও হুমকির অভিযোগ এনে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ৩ নং মাহমুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ’র প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন ওই ইউনিয়নের নয়জন সদস্য।
বুধবার (১২ আগস্ট) দুপুরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন তারা।
অনাস্থা প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ২০১৬ সালে নির্বাচিত হবার পর নিজস্ব গুন্ডা বাহিনী তৈরি করে এলাকায় রাম রাজত্ব কায়েম করেছেন। অবৈধ অর্থ উপার্জন করে কালো টাকার পাহাড় গড়েছেন। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মানুষজনকে বিভিন্ন ভয়ভীতিসহ নির্যাতন করছেন। এসব কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে ওই চেয়াম্যানের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন ওই ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য মোছা. নুর বাহার, ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. রেজাউল করিম, ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. মনোয়ার হোসেন, ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. জসিম উদ্দিন, ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. হানিফ উদ্দিন, ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. মিজানুর রহমান মাজেদ, ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. রেজাউল করিম, ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. আব্দুল হামিদ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. ফজলুল হক।
নয়জন সদস্য স্বাক্ষরিত অনাস্থা প্রস্তাবে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মাহমুদপুর বাজারের পুরনো ইউপি ভবনের জায়গায় নির্মিত দোকানপাটের জামানত ও ভাড়া আত্মসাৎ করেছেন। এ ছাড়াও তিনি আত্মসাৎ করেছেন ওই ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের হাটবাজারের আদায়কৃত ট্যাক্স, এলজিএসপি ফান্ডের টাকা, নির্বাচিত ইউপি সদস্যদের সম্মানী ভাতা, শ্রমিকদের একশ দিনের কর্মসূচির টাকা, বিভিন্ন প্রজেক্টের লোভ দেখিয়ে সদস্যদের কাছ থেকে আদায়কৃত টাকা এবং টিআর কাবিখার টাকা।
ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানিয়েছেন, আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এটি একটি চক্রান্ত। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক জানিয়েছেন, বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Discussion about this post