রাকিব হোসেন, জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
একজনের চাষে উদ্বুধ হয়ে মসলা বা পোস্ত দানা মনে করে জয়পুরহাটে বিস্তীর্ণ মাঠে জুড়ে প্রায় ১২বিঘা পপি (আফিম ও হিরোইনের উৎস) চাষ করেছে স্থানীয় ৫জন কৃষক। এই পপি চাষে মাদক তৈরী হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে রবিবার সকালে র্যাবের অভিযানে এ পপি গাছগুলো কেটে আলামত হিসাবে সংগ্রহ করা হয়েছে। এ চাষ করার দায়ে ৫জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এদিকে কৃষকদের দাবি কয়েকবছর থেকে মসলা বা পোস্তদানা হিসাবে চাষ হলেও কৃষি বিভাগ জেনেশুনেও কোন ব্যবস্থা ও পরামর্শও দেননি। অপরদিকে র্যাবের দাবি এগুলো মাদক হিসাবে চাষ হচ্ছে। জেলা কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক উদ্ধতনের উপরে দায় দিয়ে এরিয়ে যান।
জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল বনখুর গ্রামের কৃষক রহিম উদ্দিন প্রায় দু-বিঘা জমিতে পপি চাষ শুরু করে। বেশি লাভের আশায় তার দেখাদেখি ওই এলাকার আর ৫জন রাজেন্দ্রনাথ দাস, নইমুদ্দিন মন্ডল, গোলাম মোস্তফা, রিপন সরদার, নেপাল চন্দ্র দাস মোট প্রায় ১২ বিঘা জমিতে পপি চাষ করেছে। এই পপি চাষে মাদক তৈরী হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে র্যাবের অভিযানে রবিবারে জমি থেকে গাছগুলো কেটে আলামত হিসাবে সংগ্রহ করা হয়। এ চাষ করার দায়ে ৫জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
এলাকাবাসী ও কৃষকরা বলেন, মসলা বা পোস্ত দানা চাষ করলে বেশি আয়ের আশায় এসব চাষ করা হয়েছে। কিন্তু পরে জানা গেল এগুলো মাদক। কৃষি বিভাগের মনিটরিংকেই দায়ি করছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা। ক্ষতিপূরণ দাবী তাদের।
জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) এ,কে,এম মফিদুল ইসলামের নিকট কয়েক বছর থেকে পপি চাষের ব্যাপারে জানতে চাইলে উর্দ্ধতনের উপরে দায় এরিয়ে বক্তব্য দেননি।
র্যাব-৫, জয়পুরহাট ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এএসপি এম,এম মোহাইমেনুর রশিদ বলেন, পপি একটি মাদক এ চাষ নিষিদ্ধ হওয়ায় এ গাছগুলো কেটে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। আদালতের নিদের্শ পেলেই ধ্বংস করা হবে।।
Discussion about this post