নগ্ন কায়ে ছিড়েছে শকুন
ওরে, আর কত জ্বালবি তোরা সে গায়ে আগুন।
ফেলেছে মরিচ ফেলেছে লবন
বাকি রাখেনি এতটুকুও কারিতে স্বপন।
পিতা সম ভেবে তব দ্বারে মাগিছি আশ্রয়
সেই তুমি ধর্ষিতা বলে ছুটে এলে, পেতে এই শরীর এইই তোমার পরিচয়।
ধর্ষিতা বলে সমাজের বাহিরে ছুড়েছ ডাস্টবিনে
ওরে আমি কি ধর্ষিতা হয়েছি না বানিয়েছ তোমরা কজনে?
ধর্ষিতারও সম্মান আছে, আমি ধর্ষিতা বলে বার বার ধর্ষিত হব এমন কথা লেখা নেই কোন সংবিধানে।
কথায় কথায় পত্রপত্রিকায় আমারই লাঞ্ছনা হবে
এ কেমন বর্বরতা হে, আমিও মানুষ আমারও প্রাণ আছে, আমারও সম্মান আছে।
আমারও বেঁচে থাকার অধিকার আছে।
যদি পার তবে ধর্ষণ রোধ কর লালসার জিবে সুঁচ গেঁথে নারীকে যোগ্য সম্মান কর।
আরে, তোমারোতো মা, বোন, মেয়ে, ভাইঝি, ভাগ্নি আছে তোমার পরিবারে কোন না কোন নারীতো আছে।
তাদের কেউ যদি ধর্ষিতা হতো পারতে তাদের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে? পারতে না।
তবে অন্য নারীর বেলায় কেন? তোমার পরিবারের কেউ না তাই না? অন্য পরিবারের বলে ধর্ষিতার বুঝি সম্মান থাকতে নেই।
তাদের বুঝি রক্ত মাংস হয় না? না তাদের চোখের জলের কোন মূল্য নেই।
কেউ অসহায় হলেই আরেকজনের কাছে আশ্রয় নেয়, সেই অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে আবার তাকে যৌন হয়রনী করা হবে এ কেমন ন্যায়?
দুঃসময় তোমারও আসতে পারে ভেবে দেখ তোমার সেই দিন কেমন লাগবে?
লেখকঃ জয় প্রকাশ নারায়াণ (অর্থনীতি বিভাগ) সরকারী আশেক মাহমুদ কলেজ জামালপুর।
Discussion about this post