সফিকুল ইসলাম শিল্পী, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার সব চেয়ে বড় হাট নেকমরদ হাটে মেলার নামে চলছে অতিরিক্ত টোল আদায়। বিশেষ করে গরু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে । ২০ ডিসেম্বর রবিবার সরেজমিনে গিয়ে এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
সরকারি টোল আদায়ের হার অনুযায়ী, হাটে গরু প্রতি ২৩০ টাকা, ছাগল প্রতি ৯০ টাকা ও বাই-সাইকেল প্রতি ৬০ টাকা টোল নেওয়ার নিয়ম থাকলেও বর্তমানে তা না মেনে নেকমরদ মেলা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের নির্দেশে গরু প্রতি ৩৬০ টাকা, ছাগল প্রতি ১৫০ টাকা ও সাইকেল প্রতি ২০০ টাকা করে টোল আদায় করা হচ্ছে। এতে আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ক্রেতা বিক্রেতারা। হাটে আসা পশ্চিম বনগাঁও’র গরু ব্যবসায়ী রফিকুল ও বড় পলাশবাড়ি গ্রামের মর্তুজা আলী অভিযোগ করে বলেন, সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে মেলা কমাটির দায়িত্বে থাকা হাট কমিটির লোকজন এভাবে আমাদের কাছ থেকে বেশি বেশি টাকা নেওয়ায় আর্থিকভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। নেকমরদ হাটে আসা আরো অনেক ক্রেতা ও বিক্রেতা একই ভাবি মেলা কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
গরুর হাটের রশিদ লেখক ইয়াসিন আলি ও ছাগলের রশিদ লেখক আব্দুল আজিজ জানায় , নেকমরদ ওরশ মেলার কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক ও সম্পাদক আব্দুল হালিমের নির্দেশে আমরা এ অতিরিক্ত টাকা আদায় করছি।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, ‘আমরা মেলা কমিটির নামে ডিসি স্যারের মৌখিক অনুমতিতে পাঁচটি হাট নিয়েছি। সরকারি খাস আদায় হিসাবে প্রতি হাটে সংশ্লিষ্ট তহসিলদার অফিসে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে জমা দিচ্ছি । এই সাথে মূল ইজারাদারকে হাট প্রতি ৬০ হাজার টাকা করে মোট ৩ (তিন) লক্ষ টাকা দেওয়া হবে’।
এদিকে হাটের মূল ইজারাদার রাজিব হোসেন বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত হাটের ইজারার কোনো টাকা পাইনি। করোনার কারণে এবছর প্রশাসন কর্তৃক মেলা বসানোর কোন অনুমতি দেয়া হয়নি’।
এ ব্যাপারে ইউএনও সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির বলেন, ‘নেকমরদ হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ পেয়ে আমি হাটে গিয়েছি এবং অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। আদায়কারীরা অতিরিক্ত টোল আদায়ের কথা স্বীকার করে আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ।আগামী হাট থেকে আর কোনো অতিরিক্ত টাকা না নেওয়ার কথাও তারা দিয়েছেন’।
Discussion about this post