রেজওয়ানুল ইসলাম, বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়া জেলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে স্থাপিত কোভিড-১৯ রোগী ব্যবস্থাপনার জন্য লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক এবং জরুরী সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইনের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে বগুড়ার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক আনুষ্ঠানিক ভাবে এই প্লান্টের কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানা গেছে , কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য হাসপাতালের চারটি ওয়ার্ড, কেবিন, জরুরি বিভাগ এবং অপারেশন থিয়েটারসহ ২২৩টি পয়েন্ট করা হয়েছে। যার মাধ্যমে ২২৩টি বেডে অক্সিজেন সরবরাহ করা যাবে।
এর আগে জরুরিভাবে বগুড়া ২৫০ শয্যার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালকে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহের (সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই) আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু করা হয়। করোনায় মুমূর্ষু রোগীদের হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার মাধ্যমে অক্সিজেন প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়ার জন্য ৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় একটি প্ল্যান্ট। হাসপাতালের পাশে প্ল্যান্টের চুল্লি ও মেশিনারিজ বসানো হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহসচল হওয়ায় এখন থেকে হাসপাতালে করোনা রোগীরা হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার মাধ্যমে অক্সিজেন নিতে পারবেন। অক্সিজেন সিস্টেম চালু হওয়ার ফলে দুর্ভোগ লাঘব হলো। এখন হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীদের অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে রোগীর বেডে বেডে টানা হেঁচড়া করতে হবে না।
উল্লেখ্য, ২৫০ শয্যার জেলা সদরের এই জেনারেল হাসপাতাল করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষিত। সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টের কাজ বিলম্বিত হওয়ার কারণে এখানে কারোনা রোগীর চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছিল। এতে গুরুতর করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওপর চাপ বাড়ছিল। মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট চালু হওয়ায় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওপর থেকে করোনা রোগীর চাপ কমবে বলে ও জানিয়েছে
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ।
Discussion about this post