রানা মুহম্মদ সোহেল,বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার নন্দীগ্রামে কলেজে যাওয়ার পথে এক ছাত্রীকে (১৮) তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে দমদমা রামনগরের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে কুমিড়া পুলিশ উপজেলার ভাটরার নাগড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে কলেজছাত্রী বাদী হয়ে নন্দীগ্রাম থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। মামলার প্রধান আসামি রাজা মিয়াকে (২৫) আটক করে আজ শুক্রবার দুপুরে বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়। সে নন্দীগ্রাম উপজেলার দমদমা গ্রামের পাশবর্তী সিংড়া উপজেলার রামনগর গ্রামের আব্দুল জলিল প্রামানিকের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে নন্দীগ্রামে কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয় ওই ছাত্রী। পথিমধ্যে কুমিড়া পন্ডিতপুকুর বাজার ও দমদমা পাকা রাস্তা ওপর থেকে ছাত্রীকে অপহরণ করে রামনগরের বখাটে রাজা।
এরপর তার বন্ধু বুলবুলের বাড়ি ভাটরার নাগড়া এলাকায় ছাত্রীকে নিয়ে গিয়ে ঘরে আটকে রেখে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে রাজা। ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ওই বাড়িতে গেলে ধর্ষক রাজা পালিয়ে যায়। সে এরআগেও একাধিকবার ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
ধর্ষণের ঘটনা টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দিতে জনৈক জনপ্রতিনিধি ও প্রভাশালীরা প্রায় ৫ ঘণ্টায় কয়েকদফা সালিশ বসানোর চেষ্টা করে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। বিকেলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রীকে উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম থানায় নিয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কুমিড়া পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহারুল আলম জানান, ওই ছাত্রী বিবাহিত। মামলা দায়েরের পর রাতেই অভিযান চালিয়ে ধর্ষণ মামলার আসামি রাজা মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
Discussion about this post