রেজওয়ানুল ইসলাম, বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ায় জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবির ইসলাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) ভোরে কাহালু উপজেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত মূল আসামিদের কেউ এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।
গ্রেফতার হওয়া যুবকের বাম আল আমিন (২৪)। আল আমিন কাহালু উপজেলার বাসিন্দা। তার বাবার নাম আক্কাসী আলী। তিনি বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সম্মান শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। আল আমিন মামলার প্রধান আসামী আব্দুর রউফের সহযোগী। আব্দুর রউফ ওই কলেজের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডের পর তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়।
আল আমিনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর।তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আলআমিন হত্যাকাণ্ডে সম্পৃত্ত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আলআমিন আদালতে স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দি দিবেন।
ওসির দাবি, ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন আল আমিন। তাঁকে আজ ভোররাতে কাহালু উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন, রউফের সঙ্গে তিনি নিজেও চাপাতি হাতে তাকবীরের ওপর হামলায় অংশ নিয়েছেন। তাঁর দেওয়া তথ্য যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) দুপুরে ধুনটে ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে যোগদিতে যাবার পথে জেলা ছাত্র লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবির ও সদস্য জাহিদের সাথে মোটর সাইকেলে ধাক্কা লাগানিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি সেকানেই থামিয়ে দেন জেলার নেতারা। এরপর ধুনটের কর্মসূচি শেষ করে শহরের সাতমাথায় আসে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা।
রাত ৯ টার দিকে সাতমাথার পার্কিং এলাকায় পুনরায় কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে জাহিদ ও তাকবির। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের ছেলেদের মধ্যে মারপিট শুরু হয়। মারপিট ও ছুরিকাঘাতে উভয় গ্রুপের ৯ জন আহত হয়।
Discussion about this post