রানা মুহম্মদ সোহেল, বগুড়া প্রতিনিধি :
দীর্ঘ ২০ বছর পর আবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বগুড়া জেলা বিএনপির সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করলেও প্রকাশ্যে মাঠে দেখা যাচ্ছে না দলীয় নেতা কর্মীদের। তবে তৃণমূল নেতাকর্মীরা সিলেকশন নয় ইলেকশান চান তাদের আগামীর নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য। গোপন সূত্র বলছে মূলত দুইটি ভাগে বিভক্ত হয়ে দলের নেতৃত্ব বদলের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতাদের বাদ দিয়ে সুবিধাভোগীরা দলে ভিড় করেছে বলে অনেকে দাবী করলেও প্রকাশ্যে তাদের সম্পর্কে কিছু বলতে চাচ্ছেন না সম্মেলনের পূর্ব পর্যন্ত।
বিএনপির ঘাঁটি বলে পরিচিত বগুড়ার মাটিতে বিশেষ করে বগুড়া পৌর ও সদরে পরীক্ষিত নেতাদেরকে বঞ্চিত করে বিভিন্ন উপজেলা থেকে ধার করে নেতা নেতৃত্ব দেয়ার প্রবণতায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ। তৃণমূলের কর্মীদের দাবি, দীর্ঘ ২০ বছর পর যে সম্মেলন হতে যাচ্ছে এই সম্মেলন অবশ্যই নেতা নির্বাচন করতে নির্বাচন মাধ্যম কে বেছে নিলে আগামী আন্দোলন সংগ্রাম জোরদার হবে। তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন।
তবে আড়াই হাজার ভোটারের মন জয়ে গোপন সমর্থন আদায়ের চলছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা।
বগুড়া জেলা বিএনপি’র বর্তমান সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা জানিয়েছেন, একটি অবাধ, সুস্থ এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দীর্ঘ ২০ বছর পর আমরা সম্মেলন করতে যাচ্ছি। সম্মেলন ফলপ্রসূ করতে সব ধরনের ব্যাবস্থা করা হবে।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে জেলা বিএনপি’র বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, দীর্ঘ ২০ বছর পর যে সম্মেলন হতে যাচ্ছে আমরা এই সম্মেলনে ত্যাগী নেতাদেরকে প্রাধান্য দেয়া হোক এটিই আমাদের চাওয়া।
দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থী জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম দলের জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল আজিজ হীরা বলেছেন, বিভিন্ন লড়াই সংগ্রামে মৃত্যুর মুখে থেকে ফিরে এসেছি। তিনি এই সম্মেলনে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি দাবি করেছেন, দলের জন্য আমরা কে কতটুকু করেছি-সেটি সময়ই সাক্ষী- অতীত বলবে। আগামিতে কে কি করবো- তা সময়ই বলবে-? আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাকে যে টুকু সক্ষমতা দিয়েছেন- তার সবটুকু আমি উজার করে দিয়েছি। দলের জন্য- স্রোতের বিপরীতে দারিয়েও এই ফ্যাসিষ্ট জালিমের রক্তচক্ষুকে পদদলিত করেছি-নিজেকে দূর্বল করিনি- রাজপথে বার বার রক্তাক্ত হয়েছি- ক্ষনপলকে দলের সম্মান, দলের অস্তিস্তো কথা ভেবে পিছু হটিনি””রাজপথে অনেক নেতা, সহযোদ্ধা আতঙ্কিত হলেও- তাদের সাহস যুগিয়ে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে- প্রতিরোধ গড়ে তুলছি।
রক্তাক্ত-২৮ অক্টোবর-ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ এর লগিবৈঠা মিছিলে – কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তোলার মাধ্যমে- তৎকালীন- ২০ টির অধিক মামলার আসামী হয়ে-১/১১ জরুরী অবস্থা কালে ফখরুদ্দীন মঈনউদ্দীন সরকার এর সেনাবাহিনী কতৃক গ্রেফতার হয়ে ডিটেনশন সেল দীর্ঘদীন কারা ভোগ করেছি!
একাগ্রতার সাথে সব করেছি- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর আদর্শ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের অনুপ্রেরনায়।
তিনি আসছে সম্মেলনে দলের হাতকে শক্তিশালী করতে তাকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ভোট প্রদান করতে কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
অপরদিকে ভেতরে ভেতরে সকল প্রার্থীরাই ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন ফেসবুক এবং ইউটিউবে এর মাধ্যমে।
Discussion about this post