বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়া পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির কর্তৃপক্ষ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করছে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য পাঠ করেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ ওমাইদুল হাবিব।
এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, বিগত ২০১৬ সালে পুন্ড্র ইউনিভার্সিটির ভর্তি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আইন বিভাগের অধীনে এলএলবি এবং এলএলএম প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়ে আসছেন। ভর্তি সময় তারা জানায় যে উক্ত কোর্স সমূহ যাথাযথ কতৃপক্ষ কতৃক অনুমোদিত। এবং তারা নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষা গ্রহণ করে আসছিলো।
পরবর্তীতে ২ বছর অতিক্রম হবার পর আমরা জানতে পারি যে আইন বিভাগের বাংলাদেশের বার কাউন্সিল কতৃক এনওসি নেই এবং ইউজিসি কতৃক পাঠদানের অনুমোদন নেই। যার প্রেক্ষিতে আমারা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের দারস্থ হলে তারা জানান তারা অচিরেই উক্ত অনুমোদন সংক্রান্ত সমস্যা অচিরেই সমাধান করবেন বলে জানায়। এবং ইউজিসি কতৃক কোর্সের অনোমোদন আছে জানিয়ে ইউজিসি কতৃক প্রদত্ত একটি সিলেবাস অনুমোদন পত্র পদর্শন করেন (ভুয়া কাগজ)। ততকালীন ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হোসনে আরা ম্যাডাম (বর্তমান চেয়াম্যান) সহ ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যান্য সদস্য এবং ততকালীন ভিসির আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আমরা নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষা চালিয়ে যাই। পরবর্তিতে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী ইউজিসির ওয়েব সাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে পুন্ড্র বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন ব্যতিত অবৈধ ভাবে আইন বিভাগ পরিচালনা করে আসছেন। উক্ত বিজ্ঞপ্তি আমাদের নজরে আসলে আমরা ট্রাস্টি বোর্ড এবং বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের দারস্থ হলে তারা আমাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় উক্ত সমস্যা সমাধান করবেন বলে জানায়। এবং অনুমোদন প্রকৃয়া চলমান মর্মে জানায়িয়ে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় নেয়। পরবর্তীতে আবার যোগাযোগ করা হলে তারা ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নেয়।
উল্লেখ্য ডিসেম্বর, ২০২০ আগে এলএলএম প্রোগ্রামের দুটি ব্যাচ এবং এলএলবি প্রোগ্রামের দুটি ব্যাচ তাদের কোর্সের নির্ধারিত সময় অতিক্রম করেছেন। ( ৩য় ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কোর্সের মেয়াদও প্রায় শেষ) উক্ত ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সার্টিফিকেট দাবি কৃর্তপক্ষের নিকট করে আসছিলো এবং চলমান ব্যাচের সকল শিক্ষার্থী তাদের সমর্থন দিয়ে আসছিলো। বিগত কয়েকমাস যাবত বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ তথা ভিসি (ভারপ্রাপ্ত), রেজিস্ট্রার, কন্ট্রোলার দারস্থ হলে তারা বিভিন্ন দ্বায়সারা বক্তব্য প্রদান করে আসছিলো এবং হোসেন আরা ম্যাডামের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের যৌতিক দাবি থেকে সরিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন আর্থিক প্রলোভন এবং চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে আসছিলো। ২-৩ জন শিক্ষার্থীদের চকুরীতে নিয়োগ দিয়েছেনও বটে। শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভার সময় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হোসনে আরা ম্যাডাম, আমাদের জানান যে আমরা চাইলে আমাদের অন্য ডিপার্টমেন্টের সার্টিফিকেট প্রদান করবেন। পরবর্তিতে ভিসি সহ আরো দ্বায়িত্বশীল কতৃপক্ষ একই প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। যা সম্পূর্ণ অনৈতিক এবং বেআইনি। ১-১.৫ মাস যাবত আমরা ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হোসনে আরা ম্যাডামের সাক্ষাৎ চেয়ে কতৃপক্ষের নিকট ধরনা দিয়ে সাক্ষাৎের আশ্বাস পেয়েও তার সাক্ষাৎ পাইনি। বিগত ১৩ জানুয়ারী আমরা জানতে পারি যে আমাদের ডিপার্টমেন্ট হেড সহকারী অধ্যাপক জহুরুল ইসলাম স্যার কে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে টিএমএসএসের এর লিগাল এডভাইজার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং অন্যান্য শিক্ষকদের বাধ্যতা মূলক বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠানো হবে। যার প্রেক্ষিতে আমরা গত ১৫ জানুয়ারী তারিখে ভার্সিটিতে যেয়ে ভিসি মহোদয়ের নিকট অনুমোদন সংক্রান্ত অগ্রগতি, ডিপার্টমেন্ট হেড কে অপসারণ বিষয়ে জানতে চাই এবং চেয়ারম্যান ম্যাডামের সাথে সাক্ষাৎের ব্যবস্থা করে দিতে অনুরোধ করি। তিনি জানান যে তিনি জানান যে অনুমোদন সংক্রান্ত সমস্যা বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না এবং ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের দ্বায় দায়িত্ব তিনি তথা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ গ্রহণ করবেন না। উচ্চ বাচ্য প্রয়োগ এবং ধমকা ধমকি করে আমাদের তার কক্ষ হইতে বের করে দেন। পরবর্তী আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভবনের নিচতলায় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হোসেন আরা ম্যাডামের সক্ষাৎ প্রত্যাশী হয়ে অবস্থান নিই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী হাসান স্যার এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম আমাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এবং ভার্সিটি থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। একপর্যায়ে বিকাল ৪ টার সময় প্রক্টর আলী হাসান স্যার এবং প্রসাশনিক কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের নেতৃত্ব কয়েকজন জোরপূর্বক ধাক্কিয়ে উঠিয়ে দিতে চেষ্টা করেন এমন কি নারী শিক্ষার্থীদেরও ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে উচ্চ বাচ্যের বিনিময় হয়। পরবর্তিতে পুলিশ কর্মকর্তা ওসমান সাহেবের নেতৃত্ব পুলিশের একটি দল উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেন এবং আমাদের যৌতিক দাবি কে সমর্থন জানিয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিত্যগ করার অনুরোধ করলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান ত্যাগ করে বাসায় চলে আসি। পড়েরদিন আমরা জানতে পারি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ আইন বিভাগের সকল কর্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছেন এবং আমাদের নামে মিথ্যা হয়রানির মূলক অভিযোগ বগুড়া সদর থানায় দায়ের করেছে।
প্রিয় সাংবাদিক বৃন্দ, আমরা মানুষিক ভাবে চরম বিপর্যস্ত, পুন্ড্র বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক প্রতারনার স্বীকার হয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ জীবন এখন চরম হুমকির মুখে, আমরা আমাদের মূল্যবান শিক্ষা জীবনের মূলবান সময়, শ্রম, অর্থ সবকিছু বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক প্রতারিত হয়ে বৃথা যাবার পথে। আমাদের কারো স্বপ্ন বিচারক হওয়া কারো স্বপ্ন দেশ সেরা আইনজীবী হওয়া, আইন বিষয়ক অন্যান্য পেশায় নিয়জিত হয়ে মানুষের সেবা করা। আমাদের সব স্বপ্ন, আমাদের অভিভাবকদের সব স্বপ্ন আজ নিঃশেষ হবার পথে।প্রিয় সংবাদিক বৃন্দ, আজ আপনাদের নিকট সাহায্য প্রার্থি, আপনারা আমাদের কথা গনমাধ্যমে প্রকাশ করুন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহ যাথাযথ কতৃপক্ষের দৃষ্টিতে আনুন। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানি মূলক অভিযোগ, মআমলা প্রতাহার করা হোক, আমাদের স্তিময় সপ্নগুলো পুরনের সুযোগ দিন
Discussion about this post