নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বাইশটেকি গ্রাম থেকে বন্ধুর সঙ্গে ঢাকায় ঘুরতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন মাজহারুল ইসলাম নামের এক যুবক। পুলিশ গত রোববার রাতে ধানমন্ডি এলাকার একটি বেসরকারী হাসপাতাল থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করেছেন। সোমবার সকালে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন। বিষয়টি রহস্যজনক বলে জানিয়েছেন পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
নিহত যুবক সোনারগাঁয়ের সাদিপুর ইউনিয়নের বাইশটেকি গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে।
সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সিরাজুল ইসলাম সিরাজ জানান, শনিবার বিকেলে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে ঢাকায় ঘুরতে গিয়েছিল নিহত যুবক মাজহারুল ইসলাম। ওইদিন রাত ১০ টার দিকে নাফিজ নামের এক যুবক তার বাবার মোবাইলে ফোন দিয়ে জানায় মাজহারুল সড়ক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। তার চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন। এ খবর শুনে তার পরিবারের লোকজন নাফিজকে চিকিৎসার টাকা নিতে সাদিপুর আসতে বলেন। কাঁচপুর আসার কথা বলে নাফিজ মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপন চলে যায়। পরবর্তীতে মাজহারুলের পরিবারের লোকজন তাকে না পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে মাজহারুল ইসলামকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন দেখতে পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশকে অবহিত করেন। গত রোববার বিকেলে মাজহারুল ইসলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তিনি আরো বলেন, সড়ক দূর্ঘটনায় কোন চিহ্ন নিহত মাজহারুল ইসলামের শরীরে নেই। তবে মাথায় তার আঘাতের এক পাশ ফুলে স্তুুপের চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি সন্দেহ হলে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের মামা মিলন মিয়ার অভিযোগ, তার ভাগিনা মাজহারুল ইসলাম তার পরিবারে বসবাস করেন। শনিবার বিকেলে ঘুরতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন। এটা একটি হত্যাকান্ড। হত্যাকান্ডটি সড়ক দূর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়া চেষ্টা করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহতের লাশ ঢাকা থেকে এনে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে।
Discussion about this post