শফিকুল ইসলাম শামীম:
ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার জন্য সংসদে অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল- ২০২৩ এর যে প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি, শ্রমিক নেতা রফিকুল ইসলাম সুজন।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১২ টায় বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের ২০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাভারে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি জানান।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগরের সভাপতি, আবুল হোসাইন।আলোচনা সভায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্রমিক নেতা, রফিকুল ইসলাম সুজন আরও বলেন, শ্রমিকের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের জন্যই অত্যাবশকীয় পরিষেবা বিল আইন পাস হলে শ্রমিকরা অধিকার আদায়ে কোনো ধরণের আন্দোলন করতে পারবে না। শ্রমিকদের অধিকার হরণ করা হবে। শ্রমিকদের অধিকার হরণের চেষ্টা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। তাই এরই মধ্যে সংসদে যে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল আইন উত্থাপন করা হয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে। এছাড়া শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি ২৪ হাজার, বেসিক-১৬ হাজার টাকা করতে হবে। শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে এবং দ্রব্য মূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
এ সময় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণত সম্পাদক, শফিকুল ইসলাম শামীম বলেন, অধিকার আদায়ে মালিক পক্ষের অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের প্রতিনিয়ত আন্দোলন, সংগ্রাম করতে হয়। আন্দোলন, সংগ্রাম করতে গেলে পুলিশি হয়রানি ও মালিক পক্ষের ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হতে হয়। এর ভেতর গত ৬ এপ্রিল অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল-২০২৩ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। এ বিল পাস হলে সরকার জনস্বার্থে প্রয়োজন মনে করলে কোনো অত্যাবশ্যক পরিষেবার ক্ষেত্রে ধর্মঘট নিষিদ্ধ করতে পারবে। কোনো ব্যক্তি ধর্মঘট শুরু করলে বা চলমান রাখলে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এই বিলটি পাস হলে শ্রমিকদেরই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি, সুমাইয়া ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শামীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভীন আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন ঠান্ডু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম, ভারপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক সম্পাদক,আনোয়ার হোসেন রানা, সাভার উপজেলা কমিটির সভাপতি সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবু কালাম, আলমগীর শেখ লালন, আলী আকবর, রুমা আক্তারসহ বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

































Discussion about this post