আরিফ হোসাইন,ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
কবিরাজ একটি সুপরিচিত নাম। প্রাচীন যুগ থেকেই ভারত উপমহাদেশে সহ পাকিস্তান ও বাংলাদেশ কবিরাজি পেশাই, নিয়োজিত ছিলেন অসংখ্য হাকিম ও কবিরাজ। যারা মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছে সর্বদা।চিকিৎসা বিজ্ঞান অউন্নত হওয়ার কারণে , অধিকাংশ জনবসতি নির্ভরশীল ছিল কবিরাজদের উপরে। তারা বিভিন্ন গাছ-গাছরা ও জরিপুটি মাধ্যমে চিকিৎসা করত সাধারণ জনগণের উপকারের জন্য।
আজ এই মহৎ পেশা কে কুলুষিত করছে কিছু অসাধু ভন্ড প্রতারক লোকজন।কবিরাজ সেজে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে, হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এমন একজন ভন্ড কবিরাজের সন্ধান মিললো,ঝিনাইদহ ১২ নং দোগাছি ইউনিয়নের কলোমনখালি গ্রামে।ইসারত বিশ্বাস, পিতা মকবুল বিশ্বাস। তিনি ১১ বছর ধরে এই কবিরাজ সেজে, ভন্ডমি করে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লাক্ষ লক্ষ টাকা। সে জানে না কোন লেখাপড়া, নেই কোন কবিরাজি করার দক্ষতা নেই কোন সনদ পত্র। নিজের মন গড়া মন্ত্র পাঠ করে পাগলের মতো। নেই কোন কুরআন শিক্ষা, নেই কোন অন্য ধর্মের শিক্ষা। ভুলভাল কুরআনের আয়াত পাঠ করে, মানুষের কাছে থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
ইসরাত বিশ্বাস কিছু লোকজনকে নিয়ে, একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। যাদের মধ্যেমে এই প্রতারণা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে।
রিনা খাতুন নামে একজন ভুক্তভুগী জানান যে তার
বড় মেয়েটা বয়স চার বছর হবে, জন্মের, দুই বছর পরে মেয়েটির ঠান্ডা নিউমোনিয়ার হয়ে, অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারপর থেকেই রিনা খাতুন মেয়েকে সুস্থ করার জন্য নানা দিকে ছুটাছুটি করে বেড়ায় । বয়স চার বছর হওয়া সত্ত্বেও মেয়ে কোন কথা বলতে পারে না। দিশেহারা মা বাবা মেয়ের মুখে মা বাবা ডাক শোনার জন্য।
যখন যে যা বলে তারা তাই করার চেষ্টা করে।রিনা খাতুন মেয়েকে নিয়ে ডাক্তার কাছে যায়, ডাক্তার খানা থেকে কবিরাজের এক দালাল চক্রের সাথে দেখা হয়।সে রিনা খাতুন কে বলে তোমার মেয়েকে কবিরাজের কাছে নিয়ে যাও সে ভাল হয়ে যাবে। তখন অবুঝ মায়ের মন তার চাটুরতা বুঝতে না পেরে। মেয়ে নিয়ে ঐ কবিরাজের কাছে যাই।সে কবিরাজ জানায় যে মেয়ের না, মা রিনা খাতুনের সমস্যার কারণেই, তার মেয়ের এই রোগ হয়েছে। রিনা খাতুনের নাকি মা মনসার দৃষ্টি আছে,যার কারণে তার মেয়ে কথা বলতে পারে না।
এই দৃষ্টি কাটাতে পারলে নাকি তার মেয়ে, কথা বলতে পারবে। তার জন্য কবিরাজ কে হাদিয়া সরুপ দিতে হবে, নগত ৭ হাজার টাকা তার সাথে আরও জিনিসপত্র কিনতে হবে ৫ হাজার টাকার। মেয়েকে মুরগীর কাচা রক্ত দিয়ে গোসল করাতে হবে। আর রোগী ভাল হলে আরও দিতে হবে একটা খাসি ছাগল এক বস্তু চাউল।
এই সত্য রাজি থাকলে তিন মাসে তার মেয়ে কথা বলতে পারবে। তা না হলে তার টাকা ফিরিয়ে দিবে।
তিন মাস পার হয়ে গেছে মেয়ে কথা বলতো দূরের কথা আরও মেয়ের অবস্থা খারাপ হয়েছে।
রিনা খাতুন জানান আমার স্বামী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চাকরি করে, মাসে ১৫ হাজার টাকা বেতন পায়, তা দিয়ে আমার সাংসার চলানো কষ্ট হয়ে যায়। মেয়ের কথা চিন্তা করে, আমি উনাকে টাকা দিয়েছি। তার কথা মত কাজ হয়নি এখন টাকা চাইলে আমার ফোন রিসিভ করে না। আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। তাই আমি বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ঝিনাইদহ জেলা শাখায় একটি দরখাস্ত করেছি। যাতে আমি ন্যায় বিচার পাই। এবং এই ভন্ড কবিরাজ আর যেন কাউকে এই ভাবে ঠকাতে না পারে।
বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের এজন সদস্যকে নিয়ে কবিরাজের কাছে যাওয়া পর আমাকে ও সাংবাদিক আরিফ হোসাইনকে অপমান করে বাজে কথা বলে। আমি এর সঠিক বিচার চাই। যাতে করে আর কোউ যেন না ঠোগে।
কবিরাজ ইসারতের কাজে এই সকল বিষয় জানতে চাইলে তা সে শিকার করে।এবং রাগে যায়, ইসরাত ও তা স্ত্রী সাংবাদিক ও রিনা খাতুনের উপর আক্রমণ করার চেষ্টা করে। এই সকল ভন্ড কবিরাজদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দাবি করছে এলাকা বাসি।
Discussion about this post