মেহেদী হাসান,জামালপুর প্রতিনিধিঃ
ভালোবাসার কোনো আপেক্ষিক সংজ্ঞা নেই। ভালোবাসা নিজ শব্দগুণেই চিরন্তন। এ বছর পয়লা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস একই দিনে পড়েছে। দিনটি উদ্যাপনে পিছিয়ে ছিল না কেউ। তেমনি ভালোবাসা দিবসকে স্বার্থহীন ও নির্মোহ করে তুলতে আজ হাসপাতালে হাজির হয়েছিলেন জামালপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু।
আজ সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে জামালপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে হাজির হয়েছিলেন তিনি। তাঁর হাতে ছিল ভালোবাসার লাল গোলাপ ও রজনীগন্ধা। আর মুখে হৃদয়ছোঁয়া হাসি। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রতিটি বেডে রোগীদের ভালোবাসার বার্তা পৌছে দিয়েছেন তিনি।
এসময় জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন তিনিও ভালোবাসার লাল গোলাপ নিয়ে ছুটে যান রোগীদের কাছে। সদর আসনের সংসদ সদস্যের ফুলেল শুভেচ্ছা পেয়ে খুবই খুশি হোন বেডে শুয়ে থাকা রোগীরা।
শুধু রোগীদেরকেই নয়। রোগীদের দিবারাত্রি সেবাদাতা ডাক্তার ও নার্সদেরকেও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তারা। ভালোবাসা দিবসে ফুলেল শুভেচ্ছা পেয়ে তারাও বেশ আনন্দিত।
কেন এই ব্যতিক্রমী আয়োজন, জানতে চাইলে জামালপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু বলেন , ‘ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে আমরা একটু ব্যতিক্রম কিছু করতে চেয়েছিলাম। আধুনিকতায় বন্দী বর্তমান সময়ে আমরা অসুস্থ না হলে হাসপাতাল এড়িয়ে চলারই চেষ্টা করি। কিন্তু হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা মানুষগুলোও হয়তো সুস্থ থাকা অবস্থায় আজকের দিনটি নিয়ে অনেক পরিকল্পনা করেছিল। আপন মানুষগুলোকে নিয়ে তারাও হয়তো চেয়েছিল ভালোবাসা দিবস, পয়লা ফাল্গুন উদ্যাপন করবে। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তাদের পক্ষে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি। তাই আমরা কিছুটা হলেও ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে হাজির হয়েছিলাম অসুস্থ মানুষগুলোর কাছে।’
জমালপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু এর নিকট পাওয়া ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা সম্পর্কে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান জানান, পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু চলে যাওয়ার পর শিশু ওয়ার্ডের প্রতিটা শিশুই মেয়র এর দেওয়া গোলাপ নিয়ে আনন্দ করেছে। শিশুদের অভিভাবকেরাও খুব খুশি হয়েছিল। বারবার পৌর মেয়র এর প্রশংসা করছিলেন।
হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজন রাকিব মিয়া বলেন, হাজার হাজার টাকা খরচ করে আমোদফুর্তি না করে সবাই যদি এমন দিনে দেশের হাসপাতালগুলোতে কিছুটা ভালোবাসা পৌঁছাতে পারতো। তাহলে যন্ত্রণায় কাতর রোগীরাও কিছুটা সময় হাসিমুখে থাকত। কারণ, ভালোবাসা নিজেই অনেক বড় একটি ওষুধ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল হোসেন, জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান,জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জিএসএম মিজানুর রহমান মিজান,শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মাসুম রেজা রহিম,জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা প্রমূখ।
Discussion about this post