মেহেদী হাসান,জামালপুর প্রতিনিধিঃ
পাকিস্তানের শোষণ, বঞ্চনা, বৈষম্যে ও পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দি হয়ে বাঙালিরা তথা পূর্ব বাংলার জনগণ দিনের পর দিন নিষ্পেষিত হতে থাকে। এ সময় মুক্তির মহানায়ক হিসেবে বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করে তোলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত প্রতিটি স্বাধিকার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন তিনি। তাই জাতির পিতার অবদান বাংলা ও বাঙালির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে।
এমপি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে পা রেখেছে বাংলাদেশ। সুবর্ণজয়ন্তীর এ সময়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে আজ উন্নয়নের রোল মডেল। শেখ হাসিনার প্রচেষ্ঠায় দেশে রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তি মিলেছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত তরুণদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, মূল্যবোধ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবার আগে তরুণদেরই যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে।
এসময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সকলের নিকট আহবান জানান তিনি।
শনিবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জামালপুর জেলা পরিষদ আয়োজিত মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জামালপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক দিলরুবা আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ জাকির হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস, খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজায়েত আলী ফকির প্রমূখ। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালেহ শফি গেন্দা, সাংগঠনিক সম্পাদক আবম জাফর ইকবাল জাফু, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য নাঈম রহমান, জেলা পরিষদের সদস্য আসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান দুলাল মাস্টারসহ জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর সেনানী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর সামাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়ুব আলী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান অতিথিবৃন্দ।
Discussion about this post