নওগাঁয় মাকে গলা কেটে হত্যার পর লাশের পাশে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের পর গ্রেফতারকৃত সাগর, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত বখাটের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
নিহত নারীর নাম নাসিমা আক্তার সাথী (৪০)। তিনি মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের দ্বারিয়াপুর গ্রামের এমদাদুল হক মণ্ডলের স্ত্রী। হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে আটক সাগর উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের চকশ্যামরা গ্রামের জান মুহম্মদের ছেলে।
পুলিশ জানায়, নওগাঁর মান্দায় কলেজ পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পাশের এলাকার কুসুম্বা ইউনিয়নের চকশ্যামরা গ্রামের জান মুহম্মদের ছেলে সাগরের সঙ্গে। মেয়েটির সাথে মনোমালিন্য হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সাগর। এরই জেরে সোমবার রাতে তাকে হত্যার উদ্দেশে ধারালো ছুরি নিয়ে তার বাড়িতে যায় সাগর।
এসময় মেয়েটির মা বাধা দিলে সাগরের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থেই তার মৃত্যু হয়। পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় সে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে সাগর।
নওগাঁ পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন বলেন, সে গাছ বেয়ে বাসার ছাদে উঠে, ছাদের সিঁড়ি দিয়ে নেমে মেয়েটির রুমে টোকে। তখন মেয়েটির মা বুজতে পেরে চিৎকার করলে এই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়।
এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর স্বামী এমদাদুল হক বাদী হয়ে মান্দা থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এদিকে নির্যাতিতাকে শারিরীক পরীক্ষার জন্য পুলিশ হেফাজতে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Discussion about this post