সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে হেফাজতের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণা মামলা করেছেন তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।
শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় বাদী হয়ে এ মামলা করেন তিনি।
মামলার এজাহারে জান্নাত আরা ঝর্ণা উল্লেখ্য করেন, বিয়ের প্রলোভন ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে মামুনুল হক আমার সঙ্গে সম্পর্ক করেছেন। কিন্তু বিয়ের কথা বললে মামুনুল করছি, করব বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। ২০১৮ সাল থেকে ঘোরাঘুরির কথা বলে মামুনুল বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্টে আমাকে নিয়ে যান।
ঝর্ণা বলেন, স্বামী মাওলানা শহীদুল ইসলামের মাধ্যমে ২০০৫ সালে মামুনুল হকের সঙ্গে পরিচয় হয়। স্বামীর বন্ধু হওয়ায় মামুনুল আমাদের বাড়িতে অবাধ যাতায়াত ছিল। মামুনুলের সঙ্গে পরিচয়ের আগে আমরা সুখে-শান্তিতে বসবাস করছিলাম। আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মতানৈক্যের মধ্যে প্রবেশ করে মামুনুল হক শহীদুল ও আমার মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে থাকেন। মামুনুলের কারণে আমাদের দাম্পত্য জীবন চরমভাবে বিষিয়ে ওঠে। সাংসারিক এই টানাপড়েনে একপর্যায়ে মামনুলের পরামর্শে আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণাসহ হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে আটক করে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে জান্নাতকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেন মামুনুল।
মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে মামুনুল হককে গত ১৮ এপ্রিল গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। পুলিশের তেজগাঁও জোনের উপকমিশনার হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করেন। পুলিশ তখন জানায়, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
Discussion about this post