মোঃশাওন জোমাদ্দার, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রমন ঠেকাতে আজ ১০ মে থেকে স্বল্প পরিসরে দোকান খোলা যাবে সরকারিভাবে এমন ঘোষনার পর থেকেই মির্জাগঞ্জ উপজেলার হাটবাজারগুলোতে জন সমাগম যেন জনসমাবেশের রুপান্তর।
উপজেলার গার্মেন্টস জাতীয় দোকানগুলো সহ অন্যান্য দোকান গুলোতে উপচে পড়া মানুষের ভীড় দেখলে মনে হয় যেন নতুন রাজ্য জয়ের আনন্দে সবাই উৎসব পালনেরত। সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও যে মহামারি মৃত্যুকাতর করোনা নামক কোন ভাইরাস আছে এমন নজির মেলা ভার।
উল্লেখ্য গত ০৫ মে যেখানে মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ২৫ বছর বয়সী এক স্কুল শিক্ষিকার করোনা ধরা পরেছে সেখানে সব নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা না করে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ঈদের কেনা-বেঁচায় ব্যাস্ত শহর।
উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও বাজারের দোকানগুলো ঘুরে দেখায় যায়, বাজারের বিভিন্ন দোকানে সামাজিক দূরত্ব বজায় না মেনে সবাই এক জায়গায় জড়ো হয়ে নতুন সম্পর্কের বাঁধনে আবদ্ধ হয়ে গায়ে গা ঘেঁষে কেনা-বেঁচা চলছে।
বিশেষ করে গার্মেন্টসের দোকানগুলোর কথা না বললেই চলে না। বাজারগুলোর প্রায় সব দোকানেই ঠিক একই রকমের চিত্র ।
উল্লেখ্য সরকারি নির্দেশনা মতে ১০ মে থেকে স্বল্প পরিসরে দোকান বা শপিংমল খোলা যাবে। কিন্তু সরকারি নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে নির্ধারিত সময়ের আগেই উপজেলার সুবিদখালী বাজার এলাকায় বিভিন্ন কাপড়ের দোকানগুলো খোলা ছিলো।
মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের তৎপরতা উপেক্ষা করে বাজারের অনেক দোকানগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে অবাধে চলছে কেনা-বেঁচা। পুলিশের গাড়ি বা ম্যাজিস্ট্রেট আসছে শোনা মাত্র দোকানের গেট বন্ধ করা হয়।
কিছু সময় পরে পুলিশের গাড়ি চলে যাওয়া বা মোবাইল কোর্ট স্থান ত্যাগ করার সাথে সাথে আবার খোলা হয়। খেয়াল করে দেখলে মনে হয় এ যেন ভূতুড়ে ব্যাপার।
দোকানীরা কিছুতেই করোনা বিষয়ে সরকারের সতর্কতামূলক স্বাস্থ্যবিধিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।তাই উপজেলার সচেতন মহল মনে করেন বাজারগুলোর দোকানীদের কারনেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। দোকানপাট বন্ধ থাকলে মানুষের আনাগোনা এতো বাড়তো না বলেও দাবী তাদের।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সরোয়ার হোসেন বলেন, মহামারী এই করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে প্রশাসন সবসময় তৎপর ছিলো এবং রয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যেন কেনা-বেঁচা করা হয় সেজন্য প্রতিদিন বাজারগুলোতে সরকারের সতর্কতামূলক স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে প্রচারনা চালানো হচ্ছে।
কখনও মোবাইল কোর্ট করে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় জরিমানাও করা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ত্রুটি নেই। তারপরও সাধারণ মানুষগুলোকে তাদের নিজেদের ভালো নিজেদেরকেও বুঝতে হবে।
Discussion about this post