মোঃজুয়েল রানা, মোহনপুর, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী মোহনপুরে কিছুতেই থামছে না তিন ফসলী জমিতে পুকুর খননের হিড়িক। জমির শ্রেনি পরিবর্তন করা যাবে না এমন উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকলেও রাজশাহী মোহনপুরে তিন ফসলি কৃষি জমিগুলোকে পরিণত করা হচ্ছে গভীর পুকুরে। এতে করে উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষি জমির পরিমাণ।
এক শ্রেণির পুকুর ব্যবসায়ীরা কৃষকদের ফসলি জমিতে পুকুর খননের লোভনীয় প্রস্তাব দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। কৃষি জমিতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে গভীর করে জমির চারদিকে বাঁধ দিয়ে পুকুর খননের এই মহোৎসব চলছে। অনেক কৃষকরা না বুঝে হারাচ্ছেন তাদের উর্বর তিন ফসলি জমি, অন্যদিকে টাকার পাহাড় গড়ছেন এক শ্রেণির পুকুর ব্যাবসায়ী।
শ্রেণিভেদে প্রায় সকল জমিতেই সারা বছর কোন না কোন ধরণের ফসল হয়। কিন্তু কৃষি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি এবং উৎপাদিত ধানের যথাযথ মূল্য না পাওয়ায় প্রতি বিঘা জমি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ৫ থেকে ১০ বছর মেয়াদের চুক্তি করছে কৃষকরা।
চুক্তির আওতায় তাদের ফসলি জমি পুকুরে পরিণত করা হচ্ছে। জমির সেই মাটি প্রতি গাড়ি (ট্রাক্টর) ৭০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রয় করছে পুকুর ব্যবসায়ীরা। এতে করে রাস্তা নষ্ট হচ্ছে ।
উপজেলার পাথাইলে গ্রামে সাবাই বিলে আনুমানিক ৬০ বিঘা জমিতে পুকুর খননের মহাউৎসব পড়েছে । অনুসন্ধানে জানাযায়, দূর্গাপুর উপজেলার নজরুল নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নেতৃত্বে এসব অবৈধ ভাবে চলছে পুকুর খননের কাজ।
স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধ ভাবে পুকুর খননের কাজ করছে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি এসব অবৈধ পুকুর খননের বিষয়ে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে বলে জানাযায়।
অভিযোগ রয়েছে দিনে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা আর সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পযন্ত পুকুর খনন করা হচ্ছে।
স্থানীয় মেম্বার বলেন, আমরা পুকুর খনন বন্ধ করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। কোনো রেজাল্ট পাইনি আমরা।
মোহনপুর উপজেলার সাধারণ মানুষের দাবি এই অবৈধ পুকুর খনন অবিলম্বে বন্ধ নাহলে কৃষি ফসলী জমি হারিয়ে কৃষি কাজে ব্যাঘাত ঘটাসহ ক্ষতি সাধিত হবে হাজারো কৃষক।
Discussion about this post