আব্দুর রহমান পারভেজ,মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ
রাজনগরে তুচ্ছ ঘটনার জেরে ইউপি সদস্যের সহযোগীতায় শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলায় ৫জন গুরুত্বর আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় ইউপি মেম্বারসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৫/৬জনকে অজ্ঞাত আসামি করে রাজনগর থানায় মামলা করা হয়েছে। রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুতের লাইন নেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের শহিদ পরিবার হাসিনা বেগমের বাড়ির লোকজনের সাথে একই গ্রামের লন্ডন প্রবাসী মকদ্দছ আলী টেইলারের পূর্ববিরোধ ছিল। মকদ্দছ আলী পল্লীবিদ্যুত কর্তৃপক্ষের কোনো প্রকার অনুমতি ব্যতীত শহিদ পরিবারের বাড়ি থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
গত ২৮ মে বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে হাসিনা বেগমের বাড়ির পানি নিষ্কাশন নিয়ে ঐ বাড়ির এক নারীর সাথে মছদ্দর আলীর কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মছদ্দর আলীর ভাই স্থানীয় মেম্বার শুকুর আলীসহ ১৬/১৭জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হাসিনা বেগমের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা বসতঘরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাংচুর করে ও একটি মোবাইল ফোন, নগদ ৪০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়। এ সময় হাসিনা বেগমসহ ৫জন গুরুত্বর আহত হন। পরে তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখান থেকে গুরুত্বর আহত হাসিনা বেগমের ছেলে ছায়াদ আলীকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল হসেপাতালে প্রেরণ করা হয় ও দুইজনকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন আহত হাসিনা বেগম বাদি হয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার শুকুর আলীসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৫/৬জনকে অজ্ঞাত আসামি করে রাজনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
ইউপি সদস্য শুকুর আলী বলেন, ঘটনার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে এসময় আমি উভয় পক্ষকে আটকানোর জন্য চেষ্টা করছিলাম। তখন আমার মাথায় আঘাত পেলে প্রাথমিক চিকিৎসা নেই। পরে শুনেছি এঘটনায় হাসিনা বেগমর ছেলেও আহত হয়ে সিলেটে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রাজনগর থানার ওসি মো.আবুল হাসিম বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। হামলার ঘটনায় হাসিনা বেগম বাদি হয়ে মামলা করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে
Discussion about this post