আব্দুর রহমান পারভেজ, মৌলভীবাজার-প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুরে সীমিত আকারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শপিং মলগুলো গত ১০ মে থেকে খোলা হয়েছে। মার্কেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। কিন্তু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়েই কেনাকাটা করছেন লোকজন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সীমিত পরিসরে মার্কেট খোলার পর মার্কেট, বিপণি বিতান এমনকি অলিগলিতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এত মানুষের ভিড়ে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে সচেতন মহল। গত কিছুদিন যাবত এ বিষয়ে ফেইসবুকে বিভিন্ন ধরনের পোস্টের মাধ্যমে প্রতিবাদ করা হচ্ছে , তাদের দাবি, এভাবে ঘর থেকে মানুষ বের হয়ে সামাজিক দূরত্ব আর স্বাস্থ্যবিধি পরিপন্থীভাবে চললে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে করোনা আক্রান্তের পাল্লাও ভারী হবে। জায়গায় জায়গায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে পুলিশ, সেনাবাহিনী টহল থাকলেও সাধারণ মানুষ তা মানছেন না।
‘বিশেষজ্ঞদের মতে মে মাস করোনা আক্রান্তের জন্য পিক টাইম। আর জুন থেকে এটা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। আরও যদি একমাস দেশে লকডাউন থাকতো তাহলে প্রাথমিকভাবে এই ভয়াবহতা বা বিপর্যয় থেকে আমরা কাটিয়ে উঠতে পারতাম। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। লকডাউন যখন ছিল তখনই সেটাই মানুষ পালন করেছে শিথিলভাবে। আর এখন লকডাউন শিথিল করা হয়েছে তাতে মানুষ যেভাবে চলছে তাতে মনে হচ্ছে করোনা একটি গুজব।আর একটি মাস লকডাউন থাকলে আমরা সুফলটা পেতাম।’
স্থানীয় বাসিন্দা ও নাম প্রকাশে অনেকেই বলেন, ‘লকডাউন শিথিল করার মানে স্বেচ্ছায় মৃত্যুকে ডেকে নিয়ে আসা। কারণ এমনিতেই সাধারণ মানুষ সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছে না। দোকান, আর শপিং মলে মানুষ গা ঘেঁষে চলাচল করছে। তাতে করোনা মহামারির আকার ধারণ করবে। সরকার যদি এই মুহূর্তে কঠোর পদক্ষেপ না নেয় তাহলে আমাদের মৌলভীবাজার জেলাসহ সারা দেশ মৃত্যুপুরীতে রূপান্তির হবে।’
Discussion about this post