নিজেস্ব প্রতিবেদক :
কথাসাহিত্যিক সেলিম মোরশেদের সাথে আলাপচারিতা সংর্ধনা ও তার লেখা গল্পঅবলম্বনে চলচ্চিত্র প্রদর্শন হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় যশোর ইনস্টিটিউট পাবলিক লাইব্রেরির আয়োজনে অধ্যাপক শরীফ হোসেন মিলনায়তনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান করা হয়।
সংর্ধনায় অনুভূতি প্রকাশ করে সেলিম মোরশেদ বলেন, আমি প্রথমে শুব্রত গল্পের জিবন কাহিনি দিয়েই আমার লেখা শুরু। আমরা দেখি তৎকালিন সমায়ে বেশির ভাগ সিনেমা নারিদের অশ্লিলতা দিয়ে সিনেমা নির্মিত হতো। এবিষয়ে আমরা বিভিন্ন সময়ে আন্দলনও করেছি। আমার লেখা শুব্রত শেন গুপ্ত গল্প অনেক জঠিল ভাষা লেখা হলেও বর্তমানে নবীন চলচ্চিত্র নির্মাতা আবীর ফেরদৌস মুখর সহজে বুঝে চলচ্চিত্রে রুপ দিতে সক্ষম হয়েছে। অনেক বড় মাপের চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ৩০ বছর আগে এই শুব্রত শেন গুপ্ত গল্পের অন্য রুপ দিয়ে ছিলো।
আজ ৩০ বছর পরে চলচ্চিত্র নির্মাতা আবীর ফেরদৌস মুখর এই গল্পটিকে ভিন্ন আকারে সিনেমা নির্মান করার সাধ্য হয়েছে এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানায়। তবে লেখক হিসেবে যতটুকু দেওয়ার ছিল ততটুকু আমি দিতে পারিনি।
সংর্ধনা অনুষ্ঠানে যশোর ইনস্টিটিউট পাবলিক লাইব্রেরির সম্পাদক এস.নিয়াজ মোহাম্মদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন যশোর ইনস্টিটিউট পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা আবীর ফেরদৌস মুখর। আলোচক ছিলেন প্রাবন্ধিক মেহদিউর রহমান টুটুল এবং কবি মারুফুল আলম। সেলিম মোরশেদের জিবনী নিয়ে আলোচনা করেন কবি আশিক। আলাপচারিতা ও সংর্ধনা অনুষ্ঠানের শেষে ‘শুভ্রত শেন গুপ্ত’ সিনেমায় মঞ্চস্থ করা হয়।
Discussion about this post