যশোর জেলা প্রতিনিধি:
মনিরুজ্জামান মনির গতকাল শনিবার যশোর শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে দুইদিনের প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠান শেষ হয়। এঅনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের উপর নির্মিত ছয়টি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী হয়েছে। শেষ দিনে জনযুদ্ধ ৭১, আকাশে মুক্তিযুদ্ধ ও একাত্তরের নৌ- কমান্ডো প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে ও লেখিকা শারমিন আহমদ। তিনি বলেন,এখানে বিশেষ ব্যক্তিত্য হলো মুক্তিযুদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধেও চেতনা। আমি আজ সারা দিন যশোর নতুন ভাবে ঘুরে ঘুরে দেখেছি। যশোর টাউন হলে আমি যে দেখলাম বীর মুক্তিযুদ্ধার কাছ থেকে অনেক কথা শুনলাম । ১৯৭১ রে এই টাউন হল মাঠে বিজয়ি বীর মুক্তিযুদ্ধাদের এক বিসাল জনসভা হয়েছিলো। আমার বাবা স্বাধীণ বাংলাদেশের প্রথম প্রধান মন্ত্রী এবং তিনি সুন্দর বাংলাদেশ হবেন, সবাইকে একত্রিত হতে হবে এবং নতুন করে বাংলাদেশ গড়ার কথা বলেছিলেন।
তিনি বলেন, তার নিজের জন্মেও ইতিহাস ভুলে যায় সে বিশাষ ঘাতক। আমরা সেই বিশ্বাস ঘাতকের সাথে পড়তে চাইনা। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের যে গর্বিত ইতিহাস বিশ্বের সবার কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে। এই গর্বিত ইতিহাস জানতে হবে, নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া সকলের ইতিহাস গৌর্বউজ্জল। অনেক ত্যাগ করে তারা এই দেশটাকে উপহার দিয়েছে। তাই সবার ইতিহাস সংরক্ষন করতে হবে। প্রতিটি স্কুল-কলেজের কারিকলামে এবং পাঠ্য সূচিতে পূর্ণঙ্গ ইতিহাস যেন সংরক্ষিত হয়, স্কুল-কলেজের পরিক্ষার প্রশ্নেও মুক্তিযুদ্ধেও কথা তুলা হয় ।
যশোরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তেমন কোন সংরক্ষন না থাকায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীন দেশের প্রথম জনসভা হয়েছিলো যশোরের টাউন হল ময়দানে। জায়গাটা খুবই ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূণ। এখানে সেই সময়ে দেশের ঐতিহাসিক ব্যক্তিরা জনসভা করেছিলো, তাদের কোন চিহ্ন নেই। যেভাবে স্থানটা সংস্কার করা হচ্ছে সেটা ভালো ভাবে হচ্ছে না। ঐ দিনে যারা ঐতিহাসিক জনসভায় বক্তব্য দিয়েছিলেন তাদের নাম, ছবি ও বক্তব্য সংরক্ষণ করার জন্য তিনি প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন চলচ্চিত্র পরিচালক তানভীর মোকাম্মেল, মুক্তিযোদ্ধা কামাল শাহ, আকাশের মুক্তিযুদ্ধ প্রমাণ্যচিত্রের পরিচালক সগির মোস্তফা প্রমূখ।
Discussion about this post