যশোর সদর উপজেলা প্রতিনিধি, মনিরুজ্জামান মনির :
গত ২৪ ঘণ্টায় যশোর জেলায় ৬০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ৪৩২ জনে।এরমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৬৫ জন। এখনো পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে ৬৭ জন । যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছে পুরুষ ওয়ার্ডে ৬ জন এবং মহিলা ওয়ার্ডে ১ জন। তবে অভয়নগরে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি ।
এ পর্যন্ত অভয়নগরে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৩৩১ জন । হাসপাতালে ভর্তি আছে ৫১ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৮০ জন । তবে অভয়নগরে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে চল্লিশিয়া ইউনিয়ন, ভাগুটিয়া ইউনিয়ন, ৬নম্বর ওয়ার্ড এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডে।
এরমধ্যে বাঘারপাড়া উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছে ১ জন, চৌগাছায় চক্রান্ত হয়েছে ৫ জন, কেশবপুরে আক্রান্ত হয়েছে ১৫ জন এবং মনিরামপুরে আক্রান্ত হয়েছে ২জন। এপর্যন্ত যশোর সদর উপজেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রুগি দেখা যায়নি।
ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত জালাল বিশ্বাসের মেয়ে নার্গিস জানান,১১ দিন মতো আক্রান্ত হয়েছে। প্রথমে আমরা বুঝতে পারিনি যে আমার আব্বার কি হয়েছে? অতিরিক্ত বমি, পাতলা পায়খানা মাথা যন্ত্রণা, পেটে ব্যথা দেখে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। কোথাও কোনো খানাগর্ত আছে কিনা জানতে চাইলে এমন কোন খানাগর্ত নেই। তবে আমাদের ধারণা মাঠে ঘাস কাটতে যেয়ে মশাই কামড় দিয়েছে ।
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বেল্লাল আলীর স্ত্রী রহিমা জনান, এখনো শরীরে ভালো শক্তি পাচ্ছে না তবে আগের থেকে অনেকটা ভালো ।
ডেঙ্গু আক্রান্ত সেলিনা খাতুন এর ছেলে সোহেল রানা জানান, আক্রান্ত হয়েছে ৭দিন। তবে গতকাল থেকে আজকে একটু ভালো। এখনও তেমন কিছুই খেতে পারছে না।
ডেপুটি সিভিল সার্জন নাজমুস সাদিক বলেন , এডিস মশা নতুন পানি যেখানেই জমাট বাঁধে সেখানেই এডিস মশা ডিম দেয়। তবে ডাবের খোলস, ওয়ান টাইম গ্লাস এবং এসির পানিতে এডিস মশা বেশি ডিম দেয়। মশা নাশক ঔষধ যদি প্রয়োগ করে তাহলে নিরাময় করা সম্ভব। পৌরসভা থাকে যে ধুয়া দেওয়া হয় সেটা দিয়ে মশা সরে যায় । কিন্তু লার্ভা নষ্ট হয় না। যে জায়গায় লার্ভা তৈরি হয় আমাদের সেই জায়গা ধ্বংস করতে হবে।
Discussion about this post