যশোর প্রতিনিধিঃ যশোরে ৩ লক্ষাধিক পরিবারের মাঝে দেয়া হবে প্রায় ১৪ কোটি টাকা। যশোরে ৩ লাখ ১০ হাজার সাতশ’ ৭৮ পরিবারকে ভিজিএফ (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) কর্মসূচির আওতায় ১৩ কোটি ৯৮ লাখ ৫৯ হাজার একশ’ টাকা সহায়তা দেয়া হবে বলে জানা গেছে। চারশ’ ৫০ টাকা হারে সহায়তা দেয়া হবে প্রতিটি কর্মহীন পরিবার কে। যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্রে জানা গেছে, কোন এলাকায় কতজন প্রধানমন্ত্রীর সহায়তার টাকা পাবেন তার প্রস্তত করা হয়েছে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে। এ ব্যাপারে কর্মহীনদের তালিকা তৈরি করতে রোববারে পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাছে নির্দেশনা দেয়া হবে। তারা যে তালিকা পাঠাবেন সে অনুযায়ী আগামী এক সপ্তার মধ্যে সহায়তার টাকা সংশ্লিষ্টদের হাতে পৌঁছে দেয়ার কাজ শুরু করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সার্বিক এই কাজে তদারকি করবেন উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ট্যাগ অফিসারেরা। দুস্থ, অসহায়, প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধ, অসহায় মুক্তিযোদ্ধারা এ টাকা পাবেন বলে জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ভিত্তিক যে বরাদ্দ দেয়া হবে তার মধ্যে রয়েছে সদরে ২২ হাজার আটশ’ ৭৩ পরিবারের মধ্যে এক কোটি দু’ লাখ ৯২ হাজার আটশ’ ৫০ টাকা ও পৌরসভায় চার হাজার ছয়শ’ ২১ জনের মধ্যে ২০ লাখ ৭৯ হাজার চারশ’ ৫০ টাকা, ঝিকরগাছায় ৫৯ হাজার সাতশ’ ৬৫ জনের মধ্যে দু’ কোটি ৬৮ লাখ ৯৪ হাজার দুশ’ ৫০ টাকা ও পৌরসভায় তিন হাজার ৮১ জনের মধ্যে ১৩ লাখ ৮৬ হাজার চারশ’ ৫০ টাকা, চৌগাছায় ৪৬ হাজার সাতশ’ ৩৫ জনের মধ্যে দু’ কোটি দশ লাখ ৩০ হাজার সাতশ’ ৫০ টাকা ও পৌর এলাকায় তিন হাজার ৮১ জনের মধ্যে ১৩ লাখ ৮৬ হাজার চারশ’ ৫০ টাকা, অভয়নগরে ৪০ হাজার নয়শ’ ৭৯ পরিবারের মধ্যে এক কোটি ৮৪ লাখ ৪০ হাজার পাঁচশ’ ৫০ টাকা ও পৌর এলাকায় চার হাজার ছয়শ’ ২১ জনের মধ্যে ২০ লাখ ৭৯ হাজার চারশ’ ৫০ টাকা, মণিরামপুরে ৬৩ হাজার সাতশ’ ৬২ জনের মধ্যে দু’কোটি ৮৬ লাখ ৯২ হাজার নয়শ’ টাকা ও পৌর এলাকায় চার হাজার ছয়শ’ ২১ জনের মধ্যে ২০ লাখ ৭৯ হাজার চারশ’ ৫০ টাকা, কেশবপুরে ১৫ হাজার একশ’ ৩০ পরিবারের মধ্যে ৬৮ লাখ আট হাজার পাঁচশ’ টাকা ও পৌরসভায় চার হাজার ছয়শ’ ২১ জনের মধ্যে ২০ লাখ ৭৯ হাজার চারশ’ ৫০ টাকা, শার্শা উপজেলায় ২০ হাজার একশ’ ৭০ জনের মধ্যে ৯০ লাখ ৭৬ হাজার পাঁচশ’ টাকা ও বেনাপোল পৌরসভায় চার হাজার ছয়শ’ ২১ জনের মধ্যে ২০ লাখ ৭৯ হাজার চারশ’ ৫০ টাকা, বাঘারপাড়ায় দশ হাজার পাঁচশ’ ৭৭ জনের মধ্যে ৪৭ লাখ ৫৯ হাজার ছয়শ’ ৫০ টাকা ও পৌর এলাকায় এক হাজার পাঁচশ’ ৪০ জনের মধ্যে ছয় লাখ ৯৩ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড মেম্বরদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যারা টাকা পাওয়ার যোগ্য তাদের তালিকা তৈরির জন্য কমিটি করা আছে। কেউ বলেছেন, তাদের জানা আছে কোন এলাকার কে কর্মহীন। ফলে সেভাবেই তারা কর্মহীণদের কাছে এ টাকা পৌঁছে দেবেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সহায়তার টাকা ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায় পৌঁছে দেয়া হবে। সেগুলো বাস্তবায়ন করবেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। আগামী সাত দিনের মধ্যে বিতরণ শুরু হবে। ঈদের আগেই তা কার্ডধারীদের হাতে তুলে দেয়া হবে তিনি জানান।
এ বিষয়ে যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, করোনায় যারা কর্মহীন তাদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা রয়েছে। বিভিন্নভাবে তারা পাশে দাঁড়াচ্ছেনও। নির্দেশনা অনুযায়ী সঠিক ব্যক্তিদের হাতেই সহায়তার টাকা তুলে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
Discussion about this post