রাণীশংকৈল ( ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈলে গ্রাম কিংবা শহর, সব খানেই এখন নারায়ণগঞ্জফেরতদের নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সদরসহ চার উপজেলায় কয়েকশত মানুষের প্রবেশের খবর পাওয়া গেছে। তবে উপজেলা প্রশাসনের কাছে অন্য জেলা থেকে আসা ২৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার তথ্য রয়েছে। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় তাদের দেখা মিলছে। বিধি-নিষেধ অমান্য করে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে । তারা যেমন করোনা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, তেমনি ভয়ে তাদের থেকে দূরে থাকছে প্রতিবেশীরা।
জানা যায়, উপজেলার কয়েকশত মানুষ ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে চাকরি ও ব্যবসা করে। নারায়ণগঞ্জ জেলা লকডাউন ও ঢাকায় ‘অঘোষিত লকডাউন’ চলায় সেখান থেকে পালিয়ে রানীশংকৈলে গ্রামের বাড়িতে প্রতিদিনই আসছে মানুষ। কর্মস্থল ছেড়ে যারা আগে আসতে পারেনি, তারা তিন দিন ধরে এ জেলায় প্রবেশ করেছে। এদের অনেকেই জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত।
এদিকে রানীশংকৈলের পার্শবর্তী উপজেলা পীরগঞ্জ ১ জন ও হরিপুরে ২ জন মোট তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
অন্যদিকে করোনাভাইরাসের ভয়ে ও আতঙ্কে দিন কাটছে রানীশংকৈল উপজেলার মানুষ। এ উপজেলার মানুষদের সচেতন ও ঘরে রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। গত কয়েক দিনে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ থেকে গোপনে রাতের আঁধারে বিভিন্ন ট্রলার ও বাসে করে আসা কিছু মানুষ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রবেশ করেছে।
এ বিষয়ে রাণীশংকৈল থানা অফিসার ইনচার্জ আবদুল মান্নান বলেন , ‘আমরা চেষ্টা করছি বহিরাগতরা যাতে এ উপজেলাতে প্রবেশ করতে না পারে।
রানীশংকৈল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক অফিসার ডাক্তার ফিরোজ আলম জানান, গত কয়েকদিনে নমুনা পরীক্ষার ভালো এসেছে। আমাদের উপজেলা এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত।
এ বিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরিদা জানান, করোনা সচেতনতাই পুরো ঠাকুরগাঁও জেলা কে লকডাউন এর আওতায় আনা আছে। এই উপজেলায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ কিংবা বহিরাগতদের আসা যাওয়া সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমন কোন তথ্য পেলে দ্রুত আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে।
Discussion about this post