মোঃ আরিফুজ্জামান জয়,আলফাডাঙ্গা ( ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
আজ ১৫ এপ্রিল, আলফাডাঙ্গায় বেশ কঠোর ভাবে পালিত হচ্ছে সর্বাত্মক লকডাউনের ২য় দিন। প্রয়োজনে তাগিদে দু’একজন লোক ছাড়া আলফাডাঙ্গা উপজেলা ছিল প্রায় ফাঁকা। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অধিকাংশ মানুষ ঘরের বাইরে বের হয়নি। যারা নির্দেশনা অমান্য করেছেন তাদেরকে কড়া সতর্কতা দেখিয়ে বাড়িতে ফেরত পাঠিয়েছে পুলিশ। সকাল থেকে লকডাউন পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নে মাঠে ছিলেন পুলিশ সদস্যরা।
করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী কঠোর বা সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে। লকডাউনে প্রায় অচল হয়ে পড়েছে এ উপজেলা। সকাল থেকে আলফাডাঙ্গা উপজেলা ছিল প্রায় ফাঁকা। উপজেলার প্রাণকেন্দ্র চৌরাস্তা ছিল না মানুষের
কোলাহল। সেখানে অবস্থান নেন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। দু’-একজন যারা নির্দেশনা অমান্য করছেন তাদেরকে কঠোরভাবে সতর্ক করে বাড়িতে ফেরত পাঠাতে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের।
আলফাডাঙ্গাতে সর্বাত্মক লকডাউন চলছে, যেখানে একদিন আগেই বাজারে মানুষের উপস্থিতিতে পা ফেলার জায়গা ছিল না সেখানে কোনো দোকান খোলা দেখা যায়নি, এমনকি মুদি দোকান ও অনেকাংশে বন্ধ দেখা গেছে। বিকেল ৩টা পর্যন্ত কাঁচা বাজার খোলা থাকায় কিছু মানুষ কেনাকাটা করে ওই পথ দিয়ে বের হয়েছেন। বাজারের পাশাপাশি লোকাল বাস স্ট্যান্ড অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর্য প্রান্ত, ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে প্রান্ত ও উপজেলা পরিষদের প্রান্তেও ছিল কঠোর নির্দেশনা পুলিশ প্রশাসনের। সকালের দিকে বাজারে মানুষের উপস্থিতি একটু বেশি থাকলেও সময় যত গড়িয়েছে বাজার তত ফাঁকা হয়েছে। তবে, বাজারে মাছ তরতাকির আমদানি বেশি দেখা যায়নি। দুপুরের মধ্যেই অধিকাংশ তরকারির দোকান খালি হয়ে যায়। সরবরাহ কম থাকায় দোকানিরা জিনিসের দাম নিয়েছেন মাত্রাতিরিক্ত বেশি।
এদিকে, লকডাউনে কোনো বিপনিবিতান খোলা হয়নি। কাঁচাবাজারের কারণে শহরে কিছু ইঞ্জিনচালিত ও পায়েচলা রিকশা-ভ্যান দেখা গেলেও সংখ্যা ছিল খুবই কম। অন্যকোনো যানবাহন চলতে দেখা যায়নি।বাসটার্মিনাল এলাকায় বিরাজ করছে শুনসান নীরবতা।
এদিকে, ফরিদপুরের পুলিশ সুপার নিজে লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
Discussion about this post