মনিরুজ্জামান : যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের বীর নারায়নপুর গ্রামের চাষিরা ৫০ হেক্টর জমি জুড়ে এবার করলার চাষ করেছে। এছাড়াও রয়েছে পটল, বেগুন, লাউ ও শষার চাষ।
এই গ্রামের বেশির ভাগ কৃষকেরা পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্পে-আইপিএমের আওতায় এসব সবজি চাষ করে। কৃষকেরা করলার ভালো ফলন ও দাম পাচ্ছে। ৩৩ শতকে ১৮ মণ করে করলা হয়েছে অধিকাংশ কৃষকের । এক মণ করলা বিক্রয় হচ্ছে ১৬শ/২ হাজার টাকা দরে, যার প্রতি কেজি ৪০/৫০ টাকা করে। এ এলাকার করলা বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
কৃষক মুযাফ্ফার বলেন, করলার দাম পাচ্ছি ভালো । আল্লাহ ফলনও দিয়েছে এবছর। তিনি বলেন, রাস্তায় কাদার কারণে সবজি বাজারে নিতে অনেক কোষ্ঠ হয় । দশ বছর ধরে দেখে আসছি রাস্তা মাপতে আসে। কয়েক দিন আগেও দুই জন লোক মাপতে আসছে । কিন্তু কোন কাজ হয়না।
কৃষক আঃ মান্নান বলেন, এবছরে ৩৩ শতকে করলা হয়েছে ১৮ মণ করে। প্রতি মণ দাম পায়ছি ১৪/১৮শ’ টাকা করে। তিনি বলেন, বৃষ্টির সময় রাস্তায় প্রচুর কাদা হয়, যার কারণে করলা থেতো হয় দামও কোম পায়।
লেবুতলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বর শওকত আলী বরেন, এই গ্রাম সবজি চাষের জন্য উন্নাত । অধিকাংশ মানুষ সবজি চাষের উপর নির্ভরশিল । এখানে দেড় কিলোমিটার রাস্তার কারণে সবজি বাজারে নিতে খুব সমস্য হয় । রাস্তা পাকা হওয়ার কথা শুনে যায় দুই বছর ধরে । কিন্তু এখনো কোন কাজ দেখা যায়নি । তিনি মাঝে মাঝে ঘ্যাসদেন রাস্তায়। রাস্তাটি জরুরি ব্যবস্থা করা প্রয়োজন ।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব বলেন, সব সময় এই গ্রামের কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকি। এছাড়াও বিষ মুক্ত সবজি চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে । এগ্রামের কৃষকও বিষ মুক্ত সবজি চাষ করে অনেকে। তবে এই গ্রামের রাস্তাটির খুব খারাপ অবস্থা , একটু বৃষ্টি হলেই যানবহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, লেবুতলা ইউনিয়নের মধ্যে এগ্রামে সব থেকে বেশি সবজি চাষ হয় । আর এখানেই রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ । আমেরিকা সংস্থার মাধ্যমে রাস্তাটি পাকা হওয়ার কথা ছিলো । কিন্তু প্রকল্প শেষ হওয়ায় তা আর হয়নি। সবজি চাষিদের জন্য রাস্তাটি দুরুত্ব পাকা হওয়া প্রয়োজন।
এই গ্রামের কৃষকদের দাবি, দেড় কিলোমিটার রাস্তা খারাপের জন্য সময় মত সবজি বাজারজাত করতে পারে না, যার কারণে নেয্য মূল্য পাইনা। সরকার যেন দরুত্ব রাস্তাটি সু-ব্যবস্থা করে ।
Discussion about this post