মোঃ আল-মুকিদ (মাহি),রাণীশংকৈল প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে শ্বশুর বাড়ীতে স্ত্রী সহ বেড়াতে গিয়ে লাশ হলেন ইবনে মুকুল(৪৫) নামে এক ব্যক্তি।গতকাল বুধবার পৌরশহরের ভাটাপুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ইবনে মুকুল হলেন পৌরশহরের কলেজপাড়ার বাসিন্দা মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলীর ছেলে।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানায়, গতকাল ইবনে মুকুল স্ত্রী সহ শ্বশুর বাড়ীতে বেড়াতে যান। সে রাতেই হঠাৎ মুকুলকে তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অচেতন অবস্থায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।
সেখানে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জানান, এ ব্যক্তি অনেক আগেই মারা গেছেন। এমন খবর শুনে লাশ ফেলে রেখে সটকে পড়ে মুকুলের শুশুর বাড়ীর লোকজন ।
খবর পেয়ে পরে মুকুলের পরিবারের লোকজন তার লাশ নিয়ে বাসা যায়। বৃহস্পতিবার সকালে লাশ দাফনের জন্য প্রস্তুত করে মুকুলের স্ত্রী ও তার ছেলে। কিন্তু লাশ ময়না তদন্ত ছাড়া দাফন করতে দিতে নারাজ মুকুলের চাচা আব্দুল লতিফ।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি শুনেছি আমার ভাতিজার সাথে তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন সে রাতে চরম খারাপ ব্যবহারের সাথে তাকে মারপিট করে হত্যা করেছে।
তাই এর সঠিক বিচারের প্রত্যাশায় আমি লাশের ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ দাফন করতে দেবো না। পরে থানা পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও মর্গে প্রেরণ করেছে।
থানা পরিদর্শক (ওসি) এস এম জাহিদ ইকবাল বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে জানান, মৃত ব্যক্তির চাচার দাবীর প্রেক্ষিতে লাশ ময়না তদন্ত করা হচ্ছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন এলেই বুঝা যাবে এটি আসলে হত্যা না স্বাভাবিক মৃত্যু।
থানা পরিদর্শক আরো বলেন, মৃতের চাচা আব্দুল লতিফ বাদী হয়ে চারজনকে বিবাদী করে একটি এজাহার থানায় দিয়েছে। এটি মামলা হিসেবে রুজু করে পরর্বতী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discussion about this post