মাও. রেজাউল করীমঃ
মহান আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে একে অপরের সহযোগী ও কল্যাণকামী হওয়ার জন্য বলেছেন। আজ সমাজে সুদি কারবার দ্বারা করজে হাসানা বিপর্যস্ত।ঘুষ দ্বারা পরস্পর সহযোগীতা,সহমর্মিতা ও বিলুপ্ত প্রায়।
ঘুষ বলতে বুঝায়,সত্যকে অসত্য এবং অসত্যকে সত্য বানানোর জন্য মানুষ যা প্রদান করে তাকে ঘুষ বলে।
ঘুষকে হারাম ঘোষনা করে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,”তোমরা পরস্পরের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না এবং তোমরা জেনে শুনে অন্যায়ভাবে মানুষের সম্পদের কিছু অংশ ভক্ষণ করার উদ্দেশ্যে সম্পদগুলো হুকুদাতাদের কাছে উপস্হাপন করো না।”(বাকারা ১৮৮)
ঘুষ গ্রহণের পরিণতি সম্পর্কে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,”ঘুষ দাতা এবং ঘুষ গ্রহিতা উভয়ই জাহান্নামে যাবে। “ঘুষ দাতা ও ঘুষ গ্রহিতাকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লানত করেছেন।
ঘুষে মাধ্যমে ফাসাদ এবং জুলুম বেড়ে গেছে। আর আমানত ধ্বংস হয়েছে। ঘুষ গ্রহিতা তার স্বার্থ হাসিলের জন্য মানুষকে অন্যায়ের দিকে দাবিত করছে।
ঘুষ দাতাও তার অন্যায়ভাবে স্বার্থ হাসিলের জন্য ঘুষ গ্রহিতাকে উৎসাহিত করছে।আর এর দ্বারা উভয়ই ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে ।
অত:এব ঘুষ হলো আল্লাহ তায়ালার গজবের কোপানলে পড়া আর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতের খেলাফ করা এবং আযাবে নিপতিত হওয়ার উপাদান।
উল্লেখ্য,বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোন অফিস আদালত,মামলা-মকর্দমায় ঘুষ ছাড়া কাজ করানো বিরল।
তাই আসুন!কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন গড়ি,সুদ ঘুষ পরিহার করি।
Discussion about this post