মেহেদী হাসান, জামালপুর প্রতিনিধিঃ
সরিষাবাড়ীতে সরস্বতী পূজা চলাকালে মণ্ডপে কথিত মুকুল বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাতে সরিষাবাড়ী থানার নিকটবর্তী ইস্পাহানি আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে পূজা মণ্ডপ কমিটির সভাপতিসহ অন্তত ২০ জন সংখ্যালঘু মারধরের শিকার হন।
হামলায় প্রতিমা ভাঙচুর হয়নি। তবে মণ্ডপের মঞ্চ তছনছ করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় দুই শতাধিক সংখ্যালঘু বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানা রোড ও বাসস্ট্যাণ্ড এলাকা প্রদক্ষিণ করে। পরে বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় শুভ চন্দ্র গৌড় অভিযোগ করেন, ‘মুকুল ভাইয়ের নাম নিয়ে তার লোকজন আমাদের উপর অত্যাচার করে আসছে। তারা সরস্বতী পূজার সময় অতর্কিত হামলা করে। তারা আমাকে মারধর করে, মেয়েদের গায়ে হাত দেয়। অথচ আমরা সংখ্যালঘু এবং আওয়ামীলীগ করি।
ইস্পাহানি আবাসিক পূজা কমিটির সভাপতি সুকুমার ঘোষ অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার ইস্পাহানি আবাসিক এলাকায় স্বরসতী পূজার আয়োজন করা হয়। রাত ১০টার দিকে পূজা মণ্ডপে ভক্তরা পূজা-অর্চনা করা অবস্থায় বাসস্ট্যাণ্ড এলাকা থেকে ফারুক ড্রাইভার ও নান্টু ড্রাইভারের নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একটি গ্রুপ নেশা করে এসে লাঠিসোঠা নিয়ে মণ্ডপে হামলা চালায়। হামলাকারীরা অতর্কিত নারী-পুরুষদের মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গেলে আমাকেও মারধর করা হয়। তারা আমাদের পূজা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
তিনি আরো জানান, সন্ত্রাসী হামলায় তিনি এবং শুভ চন্দ্র গৌড়, বিজয় চন্দ্র গৌড়, কৃষ্ণ বর্মন, লাভলী চন্দ্র গৌড়, মায়া রানী গৌড়, অঞ্জনা চৌহান, গীতা, শান্তি, রঞ্জন, রঞ্জু, বেজাসহ অন্তত ২০জন সংখ্যালঘুকে তারা মারধর করে।
সরিষাবাড়ী থানার ওসি আবু মো. ফজলুল করীম জানান, বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।
Discussion about this post