মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকন্ঞ্জি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিক ও সেচ্ছাসেবক আশিকুল ইসলাম (২৭)কে হত্যার মামলায় প্রধান আসামী হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন।গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) আরেফিন আহমেদ হ্যাপীর কাছে প্রধান আসামী রায়হান মিয়া ওরফে সোহান এই জবানবন্দী দেন। পাশাপাশি একই আদালতে অপর গ্রেফতারকৃত আসামী রায়হানের সহযোগী সাফিন আহমেদ জুনায়েদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, আশিক হত্যা মামলায় প্রধান আসামী রায়হান ও তার সহযোগী জুনায়েদকে সোমবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়। এরমধ্যে রায়হান আজ মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছেন।
আদালতে দেওয়া জবানবন্দীতে রায়হান জানান, প্রায় ১০দিন আগে জেলা শহরের কাউতুলীতে একটি হাসপাতালে এক রোগীকে রক্ত দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের সদস্যদের ফোন দেওয়া হয়। তাদের ফোনে বাতিঘরের সদস্যরা রক্তদাতা সংগ্রহ করে সেই হাসপাতালে দিতে যায়। এসময় সেই রক্তদাতার এক কথাকে কেন্দ্র করে বাতিঘরের সদস্য আব্দুর রহমানের বাদানুবাদ হয়। আব্দুর রহমান বাতিঘরের অন্যান্য সদস্যদের কল দিলে আশিকুল ইসলাম আশিক ওই হাসপাতালে যায়। বাতিঘরের আরেক সদস্যের সাথে রায়হানও সেই হাসপাতালে যায়। রায়হান বাতিঘরের অপর সদস্যের সাথে গেলেও সেখানে গিয়ে একটি কথাকে কেন্দ্র করে আশিকের সাথে বাদানুবাদ থেকে হাতাহাতি হয়। বিষয়টি জেনে বাতিঘরের সভাপতি আজহারউদ্দিন দুইজনকে ডেকে মিমাংসা করে দেন। কিন্তু হাতাহাতি সেই ক্ষোভ মনে পুষে রাখে রায়হান। গত সোমবার (৯ জানুয়ারি) অবকাশ পার্কে মাসিক মিটিং ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের। সেই খবর রায়হান তার সহযোগী জুনায়েদের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়। পরে সভা শেষে রিকশা দিয়ে ফেরার পথে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা রায়হান ছুরিকাঘাত করে আশিককে। এতে আশিক নিহত হন।
ওসি জানান, রায়হানের সহযোগী জুনায়েদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আদালতে ৭দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছি। আদালত রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করলে তাকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আশিকুল ইসলাম আশিক রাজধানী থেকে প্রকাশিত দৈনিক পর্যবেক্ষণ পত্রিকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি ছিলেন। এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর নামে অজ্ঞাত লাশ দাফন ও রক্তদানকারী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য ছিল।
Discussion about this post