নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার টিপরদীতে অন্যের জমিতে জোরপূর্বক ড্রেন নির্মাণের কাজ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে চৈতি গ্রুপের বিরুদ্ধে।পাশাপাশি তাঁরা উপজেলার পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোশারফ এর মাধ্যমে জমির মালিক ওই পরিবারের লোকদের বিভিন্ন ভয়ভীতি হুমকি দিয়ে জমি দখলের পায়তারা করছে।এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানায় ও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ডাইং এর দূষিত পানি নিষ্কাশনের জন্য চৈতি গ্রুপ এই জমি দিয়ে তত্তাবোধক সরকার থাকা কালীন সময়ে জোরপূর্বক প্রথম ড্রেন নির্মাণ করে।এখন ঐ জমি দিয়ে দ্বিতীয় ড্রেনের কাজ করছে।
এলাকাবাসী আরোও জানায়, চৈতি গ্রুপের পিছন দিয়ে টিপরদী খাল যেটা সরাসরি মেঘনা নদীর শাখা মারীখালি নদীতে সংযুক্ত হয়েছে ।এই খালকে ব্যবহার করার জন্য অন্যের জমি দিয়ে জোরপূর্বক ড্রেন করে কোম্পানীর বর্জ্য,দূষিত কেমিক্যাল,ডাইং এর পানি ফেলছে, ফলে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ হচ্ছে বলে জানায়।
তাছাড়া দূষিত কেমিক্যাল,ডাইং এর পানির কারনে ও পানির দুর্গন্ধে খালের পাশে থাকা বসবাস কৃত মানুষ তাঁদের সাড়া মাস রোগ বালায় লেগে থাকে বলে জানায় ভুক্তভোগী সাধারণ অসহায় মানুষ গুলো।
এ ব্যাপারে কয়েক বার প্রতিবাদ করা হলেও কোনো ফলপ্রসূ ও কোনো ভরসা পায়েনি এলাকাবাসী। বিগত সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) এর কাজে আবেদন করে ছিলো । এবং সোনারগাঁয়ের ৩ আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা নিজে উপস্থিত থেকে দূষিত পানি পয়নিঙ্কাশনের পাইপ বন্ধ করে দিয়েছিল।পরে বিভিন্ন মাধ্যমে চৈতি গ্রুপ প্রভাব খাটিয়ে সেই পাইপ আবার সচল করে ।
চৈতি গ্রুপের হয়ে ইদানীং প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ডিজিএম বদরুল ও পৌর সাবেক কাউন্সিলর মোশারফ ১৫ জুন থেকে ভুক্তভোগী হাজী শাকিল রানার ও তার বোনের জায়গা দখল করে ডাইং এর পানি নিষ্কাশনের জন্য পাইপ বসানোর কাজ শুরু করে । এসময় জায়গার মালিক,প্রবাসী হাজী শাকিলের পরিবার পাইপ বসানোর কাজে বাধা দিলে তাদেরকে কোম্পানির পালিত ভাড়া করা সন্ত্রাসী মোশারফ হোসেন সহ অজ্ঞাত চার পাঁচ জন বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখায় ।
ভুক্তভোগীর পরিবার বলেন, সোনারগাঁ থানা টিপরদী মৌজাস্থিতঃ এসএ-৭৩,আরএস-৮৭ খতিয়ানভুক্তঃ সিএস ও এসএ- ৬২ আরএস-১০৪ , ১০৩ নং দুটি দাগে মোট সম্পত্তি ৬+৪=১০ শতাংশর, হাজী শাকিল রানার তার পিতার নিকট থেকে হেবা দলিল সূত্রে মালিক।
তাছাড়া পাশের জমি পারিবারিক বংশ সূত্রে দাদার কাছ থেকে জমি ক্রয় করে ছোট বোনের নামে ৬ লাখ টাকা দিয়ে।এখন পর্যন্ত লিখিত আকারে বোনের জমি না নেওয়া হলেও দীর্ঘ দিন তারা ঐ জমি ভোগ করছে। থানায় অভিযোগ করেছে ভূক্তভোগীর পরিবার।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি জানান, সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
Discussion about this post