নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পিরোজপুর ইউনিয়নের মৃত গ্যাগা আউয়াল এর সন্তান বাদলের উশৃংখল আচরনে এলাকাবাসী চরম বিপর্যয়ে। ডাকাতি, ছিনতাই, হুমকি-ধামকি, চুরি, মাদকদ্রব্য বিক্রয় এমনকি পকেটমার এগুলো তার দৈনন্দিন কর্মকান্ড।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, বিগত প্রায় দুই দশক পূর্বে সোনারগাঁয়ের তৎকালীন টপ সন্ত্রাস কালু মাস্তানের হাত ধরেই অন্ধকার জগতে বাদলের যাত্রা শুরু হয়। কালের বিবর্তনে প্রশাসনের তৎপরতায় কালু মাস্তান বিলীন হলেও রয়ে যায় তার শাগরেদ বাদল। যার টার্গেট কালু মাস্তানের অবস্থান দখল করে ত্রাশের রাজত্ব কায়েম করা। ইতিমধ্যে সে একটি গ্রুপ তৈরি করেছে। বাদল ডাকাতি ও চাঁদাবাজি করতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে গণধোলাইয়ের শিকার হয়, তার মধ্যে উল্লেখ্য বেশ কয়েক বছর পূর্বে লাঙ্গলবন্দ এলাকায় চাঁদাবাজি করার সময় গণধোলাইয়ে তার এক ‘পা’ ভেঙে ফেলা হয়, একই কায়দায় মেঘনা অঞ্চলে ডাকাতি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ে ভেঙে ফেলা হয় তার এক হাত, যা কিনা তার দেহে আজও দৃশ্যমান।
এলাকাবাসীর সূত্রে আরও জানা যায়, নানান অবৈধ হত্যা কান্ডে প্রত্যক্ষ্য বা পরক্ষ্য ভাবে জড়িত থাকতো বাদল। বিগত সময়ে এক বা একাধিক হত্যা মামলার আসামীও ছিল। কিন্তু কোন এক মন্ত্রের বলে আইনের চোখে ধূলো দিয়ে সব কিছু যেন হাওয়া করে দেয় বাদল। তাই এতো জঘন্যতম কাজ করার পরেও আজও সিনা টান করে নিজ গৃহে বসবাস করছে এবং নিজ গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে বাদল। পাশাপাশি পুলিশের ফর্মা পরিচয় দিয়ে পরিচালনার করে যাচ্ছে মাদকদ্রব্যর এক সিন্ডিকেট এবং চুরি, ছিনতাই ও পকেটমার এর মত জঘন্যতম কাজ। এই সমস্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
সাম্প্রতি সময়ে বাদলের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক দেলোয়ার নামে স্থানীয় এক সাংবাদিক তার নজরে পরে যায়। সেই থেকেই ঐ সাংবাদিককে প্রকাশ্যে, মোবাইল ফোনে ও অনলাইনে নানান কায়দায় হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে, এমনকি প্রান নাশের হুমকিও দেয়া হয়েছে ইতিমধ্যে। যার ফলে প্রচন্ড নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ঐ সাংবাদিক। পরবর্তীতে গত ১০ ই মার্চ ২০২০ তারিখে সোনারগাঁ থানায় বাদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান বিষয়টি তিনি নিজ দায়িত্বে তদারকি করবেন।
Discussion about this post