সোনারগাঁ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর সোনাপুর এলাকায় ৭ বছর বয়সী এক শিশু মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মাওলানা মোশারফ মল্লিক নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার দুপুরে কাঁচপুর সোনাপুর এলাকায় ফয়েজীয়া কওমীয়া নুরানী হাফেজীয়া মাদরাসা ও এতিম খানায় তার কক্ষে মাদ্রাসা শিক্ষক ওই ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। স্থানীয়রা মিমাংসার কথা বলে গড়িমসি করায় গত রোববার দুপুরে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়েরের পর তাকে কাঁচপুর ওই মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার করে। গতকাল সোমবার সকালে গ্রেফতারকৃত ওই শিক্ষককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মোশারফ মল্লিক ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানার চেচরি গ্রামে মৃত কালু মল্লিকের ছেলে।
সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মো. হাসিব হোসেন জানান, উপজেলার কাচঁপুর সোনাপুর এলাকায় কুদ্দুস মিয়ার তৃতীয় তলা ভাড়া নিয়ে গ্রেফতারকৃত শিক্ষক মাওলানা মোশারফ মল্লিক ও তার স্ত্রী ফয়েজীয়া কওমীয়া নুরানী হাফেজীয়া মাদরাসা ও এতিমখানা গড়ে তোলেন। বিভিন্ন প্রয়োজনে শিক্ষকের স্ত্রী বাইরে গেলে মেয়ে শিক্ষার্থীদের পড়া না পাড়ার অজুহাতে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। ওই কক্ষে নিয়ে গিয়ে সে শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানী করে। গত মঙ্গলবার দুপুরে তার স্ত্রী জরুরী প্রয়োজনে বাইরে গেলে ভূক্তভোগী ৭বছর বয়সী শিক্ষার্থীকে পড়া না পাড়ার অজুহাতে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে যৌনাঙ্গে জেলি ব্যবহার করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থী বাড়ি গিয়ে বিষয়টি বাবা মাকে জানালে মাদ্রাসায় গিয়ে স্থানীয়দের কাছে বিচার দাবি করেন। পরবর্তীতে মিমাংসা না করায় ওই শিক্ষার্থীর মা গত রোববার দুপুরে বাদি হয়ে মাওলানা মোশারফ মল্লিককে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সোনাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফয়েজীয়া কওমীয়া নুরানী হাফেজীয়া মাদরাসা থেকে গ্রেফতার করে। গতকাল সোমবার সকালে গ্রেফতারকৃত ওই শিক্ষককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ।
সোনারগাঁ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ শিক্ষকের বিষয়ে এলাকাবাসী এ সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ করেছেন।
Discussion about this post