মকবুল আলম রতন, সোনারগাঁ প্রতিনিধঃ
৩রা এপ্রিল, শনিবার সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হককে দ্বিতীয় স্ত্রীসহ অবরুদ্ধ করে হেনস্থা করার অভিযোগ তুলে রয়্যাল রিসোর্ট, সোনারগাঁ আওয়ামীলীগ কার্যালয়, যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম নান্নু ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহ মোঃ সোহাগ রনির বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গাড়ি ভাংচুর করে হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীরা।
বুধবার, ৭এপ্রিল সকালে সেই ভাংচুরের চিত্র পরিদর্শন করতে আসেন বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ-এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- জনাব মাহবুবুল আলম হানিফ , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- বাহাউদ্দীন নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক-মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক- বিপ্লব বড়ুয়া, মিনাল কান্তি দাস- মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ -৪ আসনের এমপি এ.কে.এম শামিম ওসমান, জেলা আওয়ামিলীগ এর সভাপতি- আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত মোঃ শহিদ বাদল, আড়াই হাজার-২ আসনের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক মোঃ ফিরোজ হোসাইন সহ কেন্দ্রীয় নেতাবৃন্দ।
এ সময় তারা প্রথমে চুরমার হওয়া সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের কার্যালয় পরিদর্শন করেন। তারপার যুবলীগ নেতা রফিকুল নান্নুর বাড়ি ও ব্যবাসায় প্রতিষ্ঠানের দৃশ্য দেখে সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির বাড়ি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে মাহবুবুল আলম হানিফ সাংবাদিকদের বলেন,মামুনুল হক ইস্যুকে কেন্দ্র করে ইসলামের নামে যারা আওয়ামীলীগ কার্যালয় ও নেতা কর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুর করেছে তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে একজন একজন করে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। ইসলাম কখনো অরাজকতা, নৈরাজ্য, ভাংচুর, লুটপাট সমর্থন করে না। ইসলামের নামে কেউ অপরাধ করে পার পাবে না।
কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমনে তাদের সাথে যুক্ত ছিলেন সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের আহবায়ক এডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়সার ও ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম,সদস্য ডাক্তার আবু জাফর বীরু, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সী, আলী হায়দারসহ সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।
Discussion about this post