আমিনুর রহমান,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার উত্তর পারুলিয়া বটতলা হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক গোলাম রব্বানী (৩৫)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুরে অভিযুক্ত গোলাম রব্বানী গত ১৫ মে রবিবার ঐ মাদরাসার হুজুরের কক্ষে এক শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের ঘটনা ঘটায়।
গোলাম রব্বানী হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ পারুলিয়ার সাতনালা স্কুল এলাকার আব্দুল হকের ছেলে। সে উত্তর পারুলিয়া বটতলা হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষকের পাশাপাশি সেখানে অবস্থিত মসজিদের ইমামতি করেন। এর আগেও তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছিলো বলে অনেকেই বিষয়টি জানান।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ঐ শিক্ষার্থী মাদরাসায় হাফেজ বিভাগে পড়ে। সে স্থানীয় একটি লজিং বাড়িতে রাতের খাবার খেয়ে রাতে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে ঐ মাদরাসায় থাকে। এদিকে রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অসুস্থতার অজুহাতে হুজুর গোলাম রব্বানী হাত-পা টিপে নেয়ার কথা বলে ঐ শিক্ষার্থীকে ডেকে তার ব্যক্তিগত রুমে নিয়ে যায়। এরপর কিছুক্ষণ পা টিপে দেওয়ার পর শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরে তাকে জোরপূর্বক বলাৎকার করে ঐ লম্পট শিক্ষক। এসময় শিক্ষার্থী চিৎকার করতে চাইলে তাকে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে চুপচাপ থেকে ঘুমাতে বলে।
পরদিন সকালে ঐ শিক্ষার্থীর পায়খানার রাস্তায় ব্যাথা শুরু হলে সে বাড়িতে গিয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। শিশুটির কান্নার কারণ পরিবারের লোকজন জানতে চাইলে প্রথমে সে কাউকে কিছু বলতে না চাইলেও পরে পরিবারের চাপে সব কিছুই খুলে বলে। এরপর তার পরিবারের লোকজন বিষয়টি ঐ মাদরাসার সভাপতি মোজাম্মেল হক মোজাকে বলেন।
এদিকে ঐ শিক্ষার্থীর বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম পলাশ বাদী হয়ে গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি এরশাদুল আলম বলেন, অভিযুক্ত গোলাম রব্বানীকে আজ দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Discussion about this post