নিজস্ব প্রতিবেদক:
আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিগগিরই নিয়োগ পাচ্ছেন দুই হাজার ২০৭ শিক্ষক।
এ বিষয়ে এ বছরের ৩০ মার্চ ৩য় গণবিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে মোট ৫৪ হাজার ৩০৪টি পদে নিয়োগ দানের কাযর্ক্রম শুরু করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কতৃর্পক্ষ (এনটিআরসিএ)। দ্রুতই নিয়োগ কাযর্ক্রম শেষ হবে বলে জানিয়েছে এনটিআরসিএ।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন বিচারাধীন থাকার পর গত বছরের ১২ মার্চ আপীল বিভাগ ১৩তম প্রার্থীদের নিয়োগ সুপারিশ করতে রায় দিয়েছিল। চাকরি প্রার্থীদের চাকরির বয়সসীমা অতিক্রান্ত হওয়ার বিষয় এবং বিপুল বেকার জনগোষ্ঠীর বিষয় বিবেচনা করে ৭টি রীট পিটিশনের পিটিশনারদের জন্য ২২০৭টি পদ সংরক্ষণ করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারির ক্ষেত্রে কোনো আইনগত প্রতিবন্ধকতা নেই বলে এ বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর অনুবিভাগ থেকে এক চিঠির মাধ্যমে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যানকে জানানো হয়। এর প্রেক্ষিতে এনটিআরসিএ তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কাযর্ক্রম শুরু করে।
এদিকে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে গত ১১ মার্চ আপীল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ২২০৭টি পদে নিয়োগ সুপারিশ ও পরবর্তী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য এনটিআরসিএকে চিঠি দেয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, এন্ট্রি লেভেলের বিভিন্ন পর্যায়ের মোট ২২০৭টি পদ সংরক্ষিত রেখে টেলিটক সফটওয়্যারের মাধ্যমে তাদেরকে স্থায়ী ঠিকানার কাছাকাছি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্ব-স্ব বিষয়ের শুন্যপদে নিয়োগের জন্য পদ সংরক্ষণ এবং অবশিষ্ট শুন্যপদে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করতে এনটিআরসিএকে নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে গত ১১ মার্চ আপীল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ২২০৭টি পদে নিয়োগ সুপারিশ ও পরবর্তী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য এনটিআরসিএকে দেয়া চিঠি ।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে গত ১১ মার্চ আপীল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ২২০৭টি পদে নিয়োগ সুপারিশ ও পরবর্তী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য এনটিআরসিএকে দেয়া চিঠি ।
জারি হওয়া ৩য় গণবিজ্ঞপ্তির ৬নং পয়েন্টে বলা হয়, মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী সংরক্ষিত ২ হাজার ২০৭ টি পদের বিপরীতে শুধুমাত্র উক্ত মামলার প্রতিকার প্রার্থীদের কোন পছন্দক্রম দেয়ার প্রয়োজন নেই। তারা এনটিআরসিএ ঘোষিত নিদিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে চাহিত তথ্য প্রদান করবে এবং প্রত্যেকে ১০০ টাকা হারে ফি জমা প্রদান করবে।
এতকিছু না জেনে জৈনেক প্রিন্ট মিডিয়া হবু শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে জানান নিবন্ধনধারী কিছু শিক্ষক।
জামাল নামে মামলার এক প্রতিকার প্রার্থী জানান, ১৩তম ব্যাচকে নতুন গেজেট পরিপত্র অনুযায়ী শুন্যপদের বিপরীতে টিকানো হয়েছিল। মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী আমাদের সেই চাওয়া বাস্তবায়িত হয়েছে। এরফলে, আমাদের আর বহু প্রতিষ্ঠান চয়েজ দেওয়ার ঝামেলায় যেতে হয়নি।
কামাল নামে মামলার এক প্রতিকার প্রার্থী জানান, আমাদের রায় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের চিঠি অনুযায়ী এন্ট্রি লেভেলের বিভিন্ন পর্যায়ের মোট ২ হাজার ২০৭টি পদ সংরক্ষিত রেখে টেলিটক সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্থায়ী ঠিকানার কাছাকাছি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্ব-স্ব বিষয়ের শুন্য পদে নিয়োগের জন্য পদ সংরক্ষণ করার কথা বলা হয়েছে। ৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে আমার বিষয়ে আমার স্থায়ী ঠিকানার কাছাকাছি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করে জানলাম এক প্রতিষ্ঠান প্রধান আমার বিষয়ে শুন্যপদের চাহিদা দিলেও গণবিজ্ঞপ্তিতে তা দেখা যায়নি। এতে করে আমি ধরেই নিয়েছি ঐ প্রতিষ্ঠানেই আমার চাকরি হবে। আর তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিকট আত্মীয়দের এই সুসংবাদটি জানিয়েছি।
এদিকে এ নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা বলেন, এই ২ হাজার ২০৭ জনের আবেদন নেয়া হয়েছে বিশেষ প্রক্রিয়ায়। তাদের সুপারিশের প্রস্তুতি আছে। উচ্চপদস্থদের নির্দেশনা অনুসারে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
Discussion about this post