আরিফ হোসাইন, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ
যৌতুক না পেয়ে চার বছর ধরে নির্যাতনের শিকার সুমনা।চার বছর পূর্বে ঝিনাইদহ সদরের হলিধানী ইউনিয়নের অধিবাসী তানজিদা ইসলাম সুমনা,পিতাঃআলমগীর হোসেন (২৪) এর সাথে বিয়ে হয় ঝিনাইদহ সদরের হরিনাকুণ্ড উপজেলার পোল ভাতিরিয়া ভাতুড়িয়া গ্রামের তারেক হোসেন (২৮),পিতাঃআব্দুল আলিমের সাথে।বিয়ের পর এই দম্পতির একটি কন্যা সন্তান (শ্রুতি,বয়স১+) জন্মলাভ করে।
বিয়ের পর থেকেই তারিক হোসেন তার স্ত্রীর উপর যৌতুকের জন্য অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে।ইতোপূর্বে সানজিদা ইসলাম সুমনা তার বাবার বাড়ী থেকে নগদ ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে এসে তুলে দেন।এভাবে প্রায়ই তার স্বামী তারেক হোসেন তার কাছে টাকা দাবী করে।কিন্তু সুমনার বাবার আর্থিক অবস্হা খারাপ হওয়ায় সে তার দাবী পূরণে ব্যর্থ হয়।তারপরেও তারেক হোসেন প্রায়ই তার স্ত্রীকে যৌতুকের টাকার জন্য তার স্ত্রীকে গালিগালাজ, মারধর করতে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫/০৯/২০২১ তারিখে সন্ধ্যার সময় যৌতুকের টাকার জন্য তার স্ত্রীকে ব্যাপক মারধর করে এবং তার শাশুড়ীকে মোবাইলে ফোনে সুমনাকে হত্যা করার হুমকি দেয়।মোবাইল ফোনে হুমকি পেয়ে সুমনার মাতা তারেকের বাসায় এসে তারেককে সুমনার শরীরে আঘাত করতে দেখে। আঘাতের একপর্যায়ে তারেক সুমনাকে উরনা পেচিয়ে হত্যা করতে উদ্দত হয়।এই ব্যাপারে সুমনা বাদি হয়ে তারেকের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে ।

































Discussion about this post