মেহেদী হাসান,জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুর পৌরসভায় মহুয়া জান্নাত সাথী (২৩) নামের এক গৃহবধূ নির্যাতনের শিকার হয়ে ২৫০ শয্যা জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, গৃহবধূকে বেধড়ক পিটিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন।
জানা যায়, জামালপুর পৌরসভার অন্তর্গত দাপুনিয়া গ্রামের গোলাপ আলীর ছেলে ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইবনুল হাসান বাবু’র স্ত্রী ও দুটি সন্তান থাকা স্বত্বেও একই এলাকায় ভালোবেসে পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ মহুয়া জান্নাত সাথীকে গত বছর ১৯ জুন বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় কলহ। প্রায়ই মারধরের শিকার হোন ইবনুল হাসান বাবুর দ্বিতীয় স্ত্রী সাথী।
মহুয়া জান্নাত সাথী অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, স্ত্রী ও দুটি সন্তান থাকা স্বত্বেও বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইল করে আমাকে বিয়ে করেন । বিয়ের পর সাথীকে তার বাবার বাড়িতেই রেখে দেয়। বিয়ের পর বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নেন এই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা। এছাড়াও সাংসারিক কোন ভরণ পোষণ দেন নি। এছাড়াও বিয়ের পর থেকেই শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করতেন ইবনুল হাসান বাবু। গত ১০ এপ্রিল বিকালে রোজার দিনে ঘরে খাবার না থাকায় তা ইবনুল হাসান বাবুর বাড়ির সামনে গিয়ে সাংসারিক খরচ চায় দ্বিতীয় স্ত্রী সাথী। খরচ চাওয়াকে কেদ্র করে বাবু এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে বাবুর সাথে তার প্রথম স্ত্রী রুপসী আক্তার, মা পারভীন বেগম, ছোট চাই পাপ্পু সাথীকে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে জখম সহ ইট দিয়ে হাতে আঘাত করেন।
সাথী আরও অভিযোগ করে বলেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়ার পর থেকেই বাবু ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর নাম ভাংগিয়ে চাঁদাবাজি,বিভিন্ন ভাতার কার্ড ও অনিয়ম করেন। ওর ভয়ে কেউ মুখ খুলতেও সাহস পান না। তার আচরণ সন্ত্রাসীদের মত।
পরে স্থানীয়রা সাথীকে উদ্ধার করে দাপুনিয়ায় তার বাবার বাড়িতে নিয়ে আসেন। কিছুক্ষণ পর সেখানেও হামলা চালায় ইবনুল বাবু সহ তার পরিবার। এসময় দ্বিতীয় দফায় হামলায় সাথীর মা ও বোন গুরুতর আহত হয়।
সাথীর মা আনোয়ারা বেগম জানান, আমার মেয়েকে ও আমাদের নির্মম ভাবে মেরেছে ইবনুল হাসান বাবু। আমাদের থানায় মামলা করতেও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। আমি আমার মেয়ের নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, পাশবিক নির্যাতনকারী সে যেই হোক সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
অভিযোগ এর বিষয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইবনুল হাসান বাবুর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও নাম্বারটি বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।

































Discussion about this post