মেহেদী হাসান, জামালপুর:
জামালপুর সদর উপজেলার ইটাইল ইউনিয়নের শৈলেরকান্দা গ্রামে জোরপূর্বক জমি দখলের পায়তারা ও নানা হুমকীতে দিশেহারা এক দরিদ্র চা বিক্রেতা এবং তার পরিবার। এসব অভিযোগ উঠেছে তার জেঠাতো ভাই সাইফুল ইসলাম ও সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
শৈলেরকান্দা গ্রামের মো. লিটন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমি ও আমার চাচাতো ভাই শহীদ মিয়া পৈতৃক সূত্রে শৈলেরকান্দা পীরের বাড়ি সংলগ্ন ৩৬ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন যাবত ভোগদখল করে আসছি। এর আগে প্রায় ৫০ বছর যাবত আমার পিতা ও দাদা এই জমি ভোগ দখল করেছে। আমাদের ৩৬ শতাংশ জমির পাশেই একই দাগে আমার আরেক জেঠাতো ভাই সাইফুল ইসলাম তার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ১৮ শতাংশ জমি ভোগদখল করে আসছে। হিস্যা অনুযায়ী আমরা যার যার মতো জায়গা সমান সমানভাবে বুঝিয়ে নিয়ে ভোগদখল করে আসছি। প্রায় ১ বছর আগে বসতবাড়ি নির্মাণের উদ্দেশ্যে নিচু জায়গা মাটি ফেলে ভরাট করি এবং একটি ছোট্ট দুচালা ঘর নির্মাণ করি। এরপর থেকেই আমার জেঠাতো ভাই ভূমিদস্যু সাইফুল ইসলাম জোরপূর্বকভাবে ১০ শতাংশ জমি বেদখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
সাইফুল ইসলাম সহ তার আরো দুই সহোদর ভাই আব্দুস ছামাদ ও সাইদুল জোরপূর্বক জমি বেদখলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জমির সঠিক কোন কাগজপত্র না থাকার পরেও বিভিন্ন মহলে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। প্রশাসনের কতিপয় লোকদের হাত করে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। ডিবি পুলিশ দিয়ে আমাদের নির্মাণাধীন ঘরটুকুও ভেঙ্গে ফেলার হুমকী দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যারা জোরপূর্বক ও প্রভাব খাটিয়ে আমার বাবার রেখে যাওয়া জমি জোরপূর্বক বেদখলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে তদন্ত সাপেক্ষে সর্বোচ্চ বিচার দাবী করছি।
শহীদ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার পৈতৃক সম্পত্তি জোরপূর্বক বেদখলের চেষ্টা করছে। কোনভাবে উপায় না দেখে পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করছে। আমি আমার জমি কাউকে জোর পূর্বক বেদখল করতে দিবো না৷
অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের সহোদর ভাই সাইদুল ইসলাম দাবী করে বলেন, তাদের জমির কাগজপত্র সব ঠিক আছে। তারা পুলিশের কাছে গেলে ডিবি পুলিশ বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের সাথে কথা বলেন। কোন জোরপূর্বকভাবে জমি বেদখলের চেষ্টা করা হয় নি।

































Discussion about this post