মোঃজুয়েল রানা, মোহনপুর, রাজশাহী
দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ৩১ দফা নির্দেশনা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বলে মত দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কোভিড-১৯ এর উপসর্গ গোপন না রাখার আহ্বান জানিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াসহ ৩১ দফা নির্দেশনা জারি করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনা ভাইরাস সম্পর্কে চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ভাইরাস সম্পর্কিত সচেতনতা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। লুকোচুরির দরকার নেই, করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। পিপিই সাধারণভাবে সকলের পরার দরকার নেই। চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য পিপিই নিশ্চিত করতে হবে। এই রোগ চিকিৎসায় ব্যবহৃত পিপিই, মাস্কসহ সকল চিকিৎসা সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত রাখা এবং বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে|
প্রথমেই ধন্যবাদ জানায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কে যিনি বিশ্বের যে কয়জন সৎ রাষ্ট্রপ্রধান আছেন তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। বর্তমানে করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ রোগটির মহমারী প্রকোপে দেশে কর্মহীন হয়ে পড়া দুঃস্থ অসহায় খেটে খাওয়া গরীব দুঃখী মানুষের জন্য তিনি যে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন তা আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশে বিরল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা উত্তরকাল হতে এই দেশে বহু মহান ও সংগ্রামী নেতা জন্ম হয়েছিল এবং যুগে যুগে আরো সৎ ও যোগ্য নেতা তৈরী হবে। আগামীতে বহু ছাত্রনেতা যুবনেতা জন্ম হবে। এ দেশকে নেতৃত্ব দিবে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ স্বাধীনতা নেতৃত্বদান কারী প্রাচীন সংগঠন ত্যাগের মহিমায় ভাস্কর এই দলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।দেশের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত দেশের যে কোন দুর্যোগে তারাই প্রথমে ঝাপিয়ে পড়ে। একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন আওয়ামীলীগের বহু মন্ত্রী এমপি মেয়র জনপ্রতিনিধি সকল স্তরের নেতা কর্মী রাতের ঘুম হারাম করে জীবনের ঝুকি নিয়ে মানুষের কল্যানে কাজ করছেন বাড়ি খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন, যে সব ভাল কাজ করছেন সেগুলো অন্ধকারে রেখে দু-চার জন চাল চোর চেয়ারম্যান মেম্বার দের জন্য আওয়ামীলীগের সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের আপনি গালী দিতে পারেন, না আপনাকে গালী দিতে হবে তাদের কে যারা এ ধরনের দুর্নীতির সাথে জড়িত তাদের নাম ঠিকানা উল্লেখ করে।আপনি জানেন কি এদেশে প্রায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি প্রায় ৬১ হাজার মত তাহলে সবাই কি অপরাধী? আমি মনে করি দেশের এই ক্রান্তিকালে এধরনের কাজের সাথে যারা জড়িত তাদের কোন দল নেই তারা সুবিধাবাদী কিংবা অনুপ্রবেশকারী তাদের বিচার হওয়া উচিত। এরা যুগে যুগে ছিল এবং ভবিষ্যৎতেও থকবে।আওয়ামীলীগ এর নীতি আদর্শ সত্যিকার রুপে ধারন করলে কেউ এধরনের কাজ কেউ করতে পারে না। আওয়ামীলীগ নামের দলটি রক্ষা করার জন্য কত মায়ের বুক খালী করতে হয়েছে কতজনকে জীবন দিতে হয়েছে। কত গ্রেনেড বোমার সামনে রক্ত ঝরাতে হয়েছে মনে হয় বর্তমানে প্রজন্ম সেটা ভুলতে বসেছে তা নাহলে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রচরনায় কিংবা বিদেশে বসে যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তাদের মিথ্যা প্রচরনায় জাতীকে বিভ্রান্ত করার নিল নঁকষা যারা আঁকছে তাদের ষড়যন্ত্রে আমরা পা দিব কি দিব না এটা ভেবে দেখার ভার গোটা জাতীর কাছে দিলাম। এসব কুচক্রী মহল নিজেদের কিছু লোক দিয়ে ত্রানের জন্য মানবন্ধন করে তাদের সমমনা কিছু সাংবাদিক দিয়ে তা প্রচার প্রচরনা করছে। অথচ কোথাও তাদের কোন লোক সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে এমন সংবাদ আপনি শুনতে পাবেনা এবং মাঠেও তাদের কোন দেখা মিলবে না।এধরনের গর্হিত অপরাধ যারা করছে তারা আর কিছু না হোক তারা দেশের ভাল চায় না।তাদেরকে সামজিক ভাবে বয়কট করুন এরা দেশ ও জাতীর শত্রু। দেশকে অস্থিতিশীল করার গুজব এর মত আরেকটি অপচেষ্টা। এদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।ইদানিং উদ্ববেগের সাথে লক্ষ্য করছি আমাদের কিছু নেতা কর্মী ছাত্রনেতা বুঝে কিংবা না বুঝে তাদের লিখা,ছবি, ব্যাঙ্গাত্বক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন নিজেকে জাহীর করার জন্য একটু ভাবুনত? আপনারা দলের কতটা ক্ষতি করছেন, দলে আপনাদেরকেও শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা উচিত।কপি আর পেষ্ট এই সংস্কৃতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে মেধার চর্চা করতে হবে। কালো এবং সাদার পার্থক্য যদি আমরা বুঝতে না পারি আগামীতে আমাদের তরুন নেতৃত্ত কিভাবে তৈরী হবে। অযোগ্য লোক যদি কোন কারনে যোগ্যতার আসনে বসে সে ক্ষেত্রে এধরনের ভুল হওয়া স্বাভাবিক। বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের লক্ষ লক্ষ নেতা কর্মী আজ মানবতার কল্যানে নিরলস ভাবে কাজ করছে এবং আমাদের সাথে স্বেচ্ছাসেবক সহ সমাজের ভিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোক যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে এসেছেন তাদের ত্যাগের কথা গনমাধ্যমে তুলে ধরেন। আমাদের মানব সেবার কাজ ছবি ভিডিও, তথ্যচিত্র, সরকারের জনকল্যান মুখী পদক্ষেপ তুলে ধরুন মিডিয়া তে। ছাত্রলীগের ছেলে মেয়ে দের কলমে লিখা রুখে উঠুক এদের বিরুদ্ধে । কারন আগামীতে তাদের মধ্য তরুন নেতৃত্ব তৈরী হবে। তাদের কেই বেশী বেশী জ্ঞান চর্চা করতে হবে। ভুল ইতিহাসের জন্য এ জাতীকে চরম মুল্য দিতে হয়েছিল সেটা মনে হয় এদেশের মানুষ এখোনো ভুলেনি। তা না হলে সবাইকে এর মুল্য দিতে হবে। ভাল মানুষরা আর রাজনীতি করতে আসবে না। চোর বাটপারের দৌরাত্ব বাড়বে। আবার আসবে মঈন/ ফকরুদ্দিন রা ১/১১ এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে চলবে না। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম সৎ নেতৃত্ব তৈরী হতে হবে তা হলে ই এ জাতীর কল্যান। আমরা মরহুম জননেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সেই বিখ্যাত উক্তির কথা বলি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ একটি অনুভুতির নাম বাকিটা সবারই জানা। আসুন আমরা দেশের ক্রান্তিকালে সবাই একত্র হয়ে কাজ করি ভালটা গ্রহন করি খারাপটা বর্জন করি- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করি। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কে শক্তশালী করি।আমি আমার মতামত তুলে ধরেছি লিখার মধ্য ভুল ত্রুটি মার্জনীয়।
মোঃমিজানুর রহমান
এপিএস মোঃআয়েন উদ্দিন এমপি
৫৪ রাজশাহী -৩ ( পবা -মোহনপুর )
Discussion about this post