টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে যমুনা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে টাঙ্গাইল সদর, ভূঞাপুর, কালিহাতি ও নাগরপুর উপজেলায় বাড়ছে নদী ভাঙন। বর্ষা মৌসুম এলেই ভাঙনের কবলে পড়তে হয় জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় না কর্তৃপক্ষ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি, বাঁধ নির্মাণসহ বন্যা প্রতিরোধে কাজ চলছে।
যমুনার করাল গ্রাসে ভূঞাপুর, কালিহাতি, নাগরপুর এবং সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম এখন বিলীন হওয়ার পথে। প্রতিদিনই ঘরহারা হচ্ছে নতুন নতুন পরিবার। জমি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে চাষি।
ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে ভাঙনে সর্বস্বান্ত হতে হয় তাদের। এরপরও প্রশাসনের কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেই।
একজন বলেন, থাকা খুব মুশকিল হয়ে গেছে। সবকিছুতে কষ্ট। ঘুমাতে কষ্ট, নানান চিন্তা। এমপি-মন্ত্রীরা দেখতে আসে না, বাঁধ দেয়ার কথা বলেও বাঁধ দেয় না।
আরেকজন বলেন, নদীর পাড় ভাঙতে ভাঙতে আর আমাগো ঘর সরাইতে সরাইতে জীবন শেষ।অবশ্য পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণসহ ভাঙন রোধে নদীতে জিওব্যাগ ফেলার কাজ চলমান রয়েছে।
টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, নদীতে জিওব্যাগ ফেলাটা দ্রুত সমাধানের জন্য। আমাদের কাজ আছে স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রকল্প দাখিল করেছি। যমুনার ভাঙনে গত এক মাসে চারটি উপজেলার ২০’টি গ্রামের শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়েছে। আর বিলীন হয়ে গেছে চরাঞ্চলের শতকরা ২০ ভাগ ফসলি জমি।
Discussion about this post