সোহেল কবির, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গোলাকান্দাইল থেকে ভুলতা এলাকা জুড়ে মহাসড়কে বসেছে কাঁচাবাজার, সৃষ্টি হচ্ছে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট, চরম জন দুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে এলাকায়। প্রশাসনের নিরব ভূমিকা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় মহাসড়কের এক এক পাশে তিনটি রাস্তা থাকলেও দুটি রাস্তা দখলে নিয়েছে ভাসমান হকাররা। এখানে ভোর ৬ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত প্রতিদিন হাজার খানেক ভ্যানগাড়ি সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। মানুষের চলাচলে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। মহাসড়কটি হকারদের দখলে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পথচারীদের রাস্তা পারাপার করতে হচ্ছে।
ভোক্তভোগীদের অভিযোগ ভুলতা গোলাকান্দাইল এলাকা জুড়ে মহাসড়কের একপাশে বসেছে কাঁচাবাজার ঠিক তার সামনেই রয়েছে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ি। সাধারণ মানুষের অভিযোগ ফাঁড়ির সামনে পুলিশের নাকের ঢগায় এভাবে কিভাবে ফুটপাত কাঁচাবাজার বসে। অবশ্যই ফাঁড়ি পুলিশের যোগসাজশে নামে মাত্র ফুটপাত উচ্ছেদ করা হয়।
পুলিশ চলে যাওয়ার পরই হকাররা ফুটপাত দখল করে নেয় এবং রাত ১০ টা পর্যন্ত মহাসড়ক দখল থাকে হকারদের। ফুটপাতের সাথে ফাঁড়ির কতিপয় সদস্য জড়িত থাকার কারনে মহাসড়কে ফুটপাত কোনভাবেই সরানো সম্ভব হচ্ছে না।
মার্কেট এলাকার অনেকেই নাম না বলার শর্তে বলেন ফুটপাত উচ্ছেদ অভিযানে ইউএনও, এসি ল্যান্ড আতিকুল ইসলাম, উপজেলার চেয়ারম্যান ও পুলিশ প্রশাসনকে সাথে নিয়ে গত কয়েকদিন আগে ভুলতা এলাকার তাঁতবাজার থেকে গোলাকান্দাইল পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশ একেবারেই ফুটপাত মুক্ত করে দেন। তারা চলে যাওয়ার দুই ঘন্টা পরই আবার ফুটপাতে বসে পড়ে হকাররা।
অভিযোগ উঠেছে এখানকার ফুটপাত ও মহাসড়কের কাঁচাবাজার না কি নেতাদের ছত্রছায়ায় বসানো হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মহাসড়কে কাঁচাবাজার ও ফুটপাত বসানোর সাথে প্রকৃত ভাবে বড় নেতারা জড়িত না, এক শ্রেণির চাঁদাবাজরাই নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে ফুটপাতে চাঁদাবাজি করছে।
সচেতনমহল মনে করে পুলিশ প্রশাসন কখনো এককভাবে মহাসড়কের কাঁচাবাজার ও ফুটপাত বন্ধ করতে পারবে না। একমাত্র মার্কেট মালিকরা পুলিশকে সাথে নিয়ে মহাসড়কের হকার উচ্ছেদ করতে হবে।
কয়েকদিন আগে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলার পরিষদের যৌথ অভিযানের পর ইউএনও নির্দেশ মতে মহা সড়কের হকার উচ্ছেদ অভিযান বাস্তবায়ন করতে আব্দুল হক সুপার মার্কেট কতৃপক্ষকে তাদের নিজস্ব সিকিউরিটি দিয়ে মহাসড়ক দখল মুক্ত রাখতে দেখা যায়। আব্দুল হক সুপার মার্কেট কতৃপক্ষের সফলতায় অভিজ্ঞ মহল মনে করেন, পুলিশ প্রশাসন সাথে নিয়ে অন্য মার্কেট মালিক কতৃপক্ষ তাদের মার্কেটের সামনে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।

































Discussion about this post