সোনারগাঁ প্রতিনিধি:
নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন জামপুর ইউনিয়নের পেচাইন ব্রীজ সংলগ্ন ও সাইদুল মার্কেট সংলগ্ন রাস্তার উপর হতে ৫’ই জুন রোববার দিবাগত রাতে এশিয়ান হাইওয়ে রোড মেরামত কাজের উদ্দেশ্যে রাখা প্রায় দুই হাজার বস্তা সিমেন্ট চুরি হয়। পর দিন অর্থাৎ সোমবার সকালে নিকটস্থ তালতলা পুলিশ ফারিতে বিষয়টি অবগত করলে, পুলিশ এসে মামলার বিবরণ অনুযায়ী তিনটি আলাদা আলাদা স্থান হইতে মোট ৭০ বস্তা মাল জব্দ করে। এরমধ্যে জাহাঙ্গীর নামক একজন ব্যক্তির বাসা হইতে ২০ বস্তা মাল উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে জাহাঙ্গীর ও আওলাদ নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলে, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের বয়ান অনুযায়ী আলামিন ও গোলজার সহ মোট ১১ জন সাথে আরও ২/৩ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি উল্লেখ করে মেরামতকারী প্রতিষ্ঠানের মেটারিয়ালস ম্যানেজার মিঃ উইন (চাইনিজ নাগরিক) বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন।
তন্মধ্যে নিজেকে নির্দোষ দাবী করে মোঃ আল আমিন বলেন, এই ন্যাক্কারজনক কাজ এর সাথে আমি ও গোলজার কোনো ভাবেই জড়িত নই। কে বা কারা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আমার মালিকানাধীন ভবন বুলবুল মার্কেটের সম্মুখে একটি ভ্যানগাড়ি ভর্তি করে আমাদের অপরাধী করার লক্ষ্যে বেশ কিছু বস্তা সিমেন্ট রেখে যায়। অথচ এই চুরির বিষয়ে আমার কোনো ধারনা ছিলো না। অন্যদিকে গোলজারও আল আমিনের কথার সাথে সহমত পোষণ করে নিজেকে নির্দোষ দাবী করে বলেন, আমি ও আল আমিন দুজনেই নিজস্ব ব্যবসায়িক কারবার হতে সচ্ছল উপার্জন করে থাকি। যা সম্পর্কে অত্র এলাকাবাসী অবগত রয়েছেন। তবে রাজনৈতিক অথাবা ব্যবসায়িক শত্রুতা বা ঈর্ষান্বিতার জেরে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আমাদের আসামি করে হয়রানি করা হচ্ছে। অতঃপর আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উভয়ই বলেন নিশ্চয়ই সঠিক ও সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সত্য ঘটনা বের হয়ে আসবে এবং বিনা কারনে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে হয়রানি হওয়ায় ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি।
স্থানীয় এলাকাবাসীর মতে, আল-আমিন ও গুলজার অত্র এলাকায় সচ্ছল ব্যবসায়ী ও পরোপকারী হিসেবে বিবেচিত। তাছাড়া তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। সুতরাং তারা এ ধরনের নিচু ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে বলে আমাদের মনে হয় না।
মামলার তদন্তকারী অফিসার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামি দ্বয়ের বয়ান অনুযায়ী বাকী আসামিদের তালিকা করা হয়। তাছাড়া যেকোনো চুরি যাওয়া বা খোয়া যাওয়া মাল পুনরায় খুঁজে পাওয়ার স্থান, প্রতিষ্ঠান অথবা বসতবাড়ির মালিক বা পরিচালককে বিধি মোতাবেক প্রাথমিক পর্যায়ে অপরাধী হিসেবে গন্য করা যায়। অতঃপর পর্যায়ক্রমে আইনানুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে মূল আসামি বা আসামিদের চিহ্নিত করা হবে।

































Discussion about this post