দ্বিতীয় মেঘনা ও মেঘনা গোমতি সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধান মন্ত্রী ।
শনিবার সকাল সাড়ে এগারো টার সময়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে সেতু দু’টির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ,মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক. ম. মোজাম্লেল হোসেন , কৃষি মন্ত্রী ডা: আবদুল রাজ্জাক ।উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান ।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রালয়ের একটি সূত্র জানায়, নির্ধারিত সময়ের প্রায় সাত মাস আগেই ঢাকা-চট্রগাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতি সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ঈদের আগেই সেতু দু’টি খুলে দেয়ায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সাধারণ যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা। মেঘনা-গোমতি সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক শওকত আহমেদ মজুমদার জানান, ১৪‘শ ১০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৭ দশমিক ৭৫ মিটার প্রস্থ দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতি সেতু ১৬টি পিলার ও দুই পাশে দু’টি এপার্টমেন্টের উপর নির্মাণ করা হয়েছে। এটি নির্মানে ব্যয় ধরা হয়েছে ২হাজার কোটি টাকা। এছাড়া পুরাতন মেঘনা-গোমতি সেতু পুণর্বাসনের জন্য ব্যয় হবে ৪‘শ কোটি টাকা। দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতি সেতু উদ্বোধনের পর যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হলে পুরাতন সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। তিনি আরো বলেন, দ্বিতীয় কাচঁপুর, মেঘনা ও দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতি সেতু নির্মাণ ও পুরাতন বিদ্যমান তিনটি সেতু পুনর্বাসনের জন্য মোট ব্যয় হয়েছে ৬হাজার কোটি টাকা। নির্ধারিত সময়ের আগেই তিনটি সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কারনে প্রায় ৭‘শ কোটি টাকা সরকারের সাশ্রয় হয়েছে।
মেঘনা-গোমতি সেতুর আবাসিক প্রকৌশলী কবির আহমেদ জানান, ২০১৬সালে জানুয়ারী মাসে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। ২০২০ সালে কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু তার কয়েক মাস আগেই নতুন সেতু নির্মাণ ও পুরাতন বিদ্যমান সেতুর পূণর্বাসন কাজ শেষ হবে। জাপানের আধুনিক প্রযুক্তি ও স্টীল ন্যারো বক্সগার্ডারের উপর এ সেতু নির্মিত হয়েছে। এটি বাংলাদেশে নির্মিত প্রথম সেতু। এর আগে ভিয়েতনাম ও জাপানে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
মেঘনা-গোমতি সেতুর প্রকৌশলী আমিনুল করিম জানান, ১হাজার ৪‘শ ১০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুর ১৬টি পিলারের মধ্যে ৬টি পিলার এসপি এসপি পাইলের মাধ্যমে পুরাতন সেতুর সাথে নতুন সেতুটি এটাস্ট করা হয়েছে। বাকিগুলো করা হয়েছে কাস্টিং সিটুপাইলের মাধ্যমে। প্রতিটি পাইলিং ৭৬মিটার বোরিং করা হয়েছে। নতুন সেতুতে মাত্র একটি জয়েন্ট এক্সপানসন জয়েন্ট রয়েছে। যে কারনে সেতুতে গাড়ি চলবে বিমানের রানওয়ের মতো। এছাড়া পুরাতন সেতুর ১৭টি জয়েন্ট এক্সপানসন জয়েন্ট বাদ দিয়ে একটি জয়েন্ট এক্সপানসন রাখা হবে। এতে করে পুরাতন সেতুটিতে একই গতিতে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। এসপি এসপি শিপ পাইল ফাউন্ডেশন এসিসিটি ডেক্সস্লাব কম্পোজিট স্ট্রাকচারে কোয়ালিটি কন্ট্রোলের মাধ্যমে এ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। যে কারনে এবং পুরাতন দু’টি সেতুই ১‘শ বছরের বেশী আয়ুকাল হবে।
Discussion about this post