নিলয় স্পোর্টস ডেস্ক:
নিউজল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডে হেরে হোয়াইট ওয়াশের শঙ্কায় ছিলো বাংলাদেশ। তবে সে শঙ্কা সত্যি হতে দেয়নি টাইগার বোলাররা। শরিফুল, তানজিদের বোলিং তোপে মাত্র ৯৮ রানে গুড়িয়ে যায় কিউইদের ইনিংস। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বেশি বেগ পেতে হয়নি ব্যাটারদেরও। মাত্র ১৫ ওভার এক বলেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় বাংলাদেশ। আর তাতেই হোয়াইট ওয়াশ এড়িয়ে (২-১) এ সিরিজ শেষ করলো নাজমুল শান্তর দল।
আজ নিউজল্যান্ডের নেপিয়ারে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় টাইগার অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক মূল্যায়ন করেন টাইগার বোলারও। শুরু থেকেই কিউই ব্যাটার দের চেপে ধরে তানজিদ, শরিফুলরা। দলীয় ১৬ রানে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে কিউই শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন তরুণ তুর্কি তানজিদ হাসান তামিম। ব্যাক্তিগত ৮ রানে রাচিন রাবিন্দ্রাকে ফেরান এ বোলার। এরপরেই তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গ পড়ে নিউজিল্যান্ড ব্যাটিং লাইন-আপ। দুই অঙ্কের রানে যেতে পারেননি নিউজিল্যান্ডের সাত ব্যাটার। ইনিংসে কিউই ওপেনার উইল ইয়াংয়ের ২৬ ও অধিনায়ক টম লাথামের ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। টাইগার বোলারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে ৩২ ওভারে মাত্র ৯৮ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। এ দিন টাইগার বোলার শরিফুল, তানজিদ, ও সৌম্য সরকার নেন তিনটি করে উইকেট।
৯৯ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করে টাইগারদের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও এনামুল হক বিজয়। যদিও ব্যাথা পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন আগের ম্যাচে ১৬৯ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস উপহার দেওয়া সৌম্য সরকার। এরপরে অধিনায়ক শান্তর সাথে ৬৯ রানের জুটি গড়েন ওপেনার বিজয়। তখনি দলের জয় প্রায় নিশ্চিত। এমন সময়ে দলীয় ৮৪ রানে ও’রর্কির বলে ব্যক্তিগত ৩৭ রানে আউট হন এনামুল বিজয়। তারপর ক্রিজে আসেন লিটন কুমার দাস। লিটন ক্রিজে আসলেও বাকি কাজটুকু সাড়েন অধিনায়ক শান্ত। নাজমুল শান্তর অপরাজিত ৫১ রানে ১৫ ওভার এক বলেই জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। ফলে একটি ম্যাচ জিতে হোয়াইট ওয়াশ এড়ালো টাইগাররা।
Discussion about this post